প্রতিবেদন : ১৫ জুন থেকেই গভীর সমুদ্রে ইলিশের সন্ধানে ভাসবে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বেশ কয়েক হাজার ট্রলার। জেলার মৎস্যবন্দরগুলিতে শেষ পর্যায়ের প্রস্তুতি তুঙ্গে। কিছুদিন আগেও বেশিরভাগ ট্রলার ছিল ডাঙায়। তখন সেগুলির মেরামতি চলছিল। ১৫ এপ্রিল থেকে ১৪ জুন সমুদ্রে মাছ ধরায় সরকারি নিষেধাজ্ঞা জারি থাকে। এই দু’মাস তাই ট্রলার ডাঙায় লাগিয়ে মেরামতির কাজ সেরে নেন মৎস্যজীবীরা। সেই কাজের পর এবার ইতিমধ্যেই সব ট্রলার নদীতে নামিয়ে দেওয়া হয়েছে। আর সাতদিন পরই সেগুলি পাড়ি দেবে সাগরে মাছ ধরার উদ্দেশ্যে।
আরও পড়ুন-বৈঠক শেষে এক নজরে তৃণমূলের সংসদীয় কমিটি
এলাকার মৎস্যজীবীদের কথায়, ‘গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়ার আগে সব প্রস্তুতি সারা। ট্রলারগুলো সারিয়ে ডাঙা থেকে নদীতে নামিয়ে দেওয়া হয়েছে ইতিমধ্যে। জালও সারিয় তোলা হয়েছে সব ট্রলারে। সঙ্গে মুদিখানার জিনিস, ডিজেল ইত্যাদি সব ধরনের জরুরি জিনিসপত্র নেওয়া হয়েছে। এর পর শুধু বরফ নিলেই রওনা দেওয়ার আগে কাজ শেষ। তারপরই সমুদ্রে পাড়ি দেবে ট্রলারগুলি। ইতিমধ্যে বেশ কটি ট্রলারে বরফ তুলে নেওয়াও সারা। দু-একদিনের মধ্যেই সেগুলি পাথরপ্রতিমার পথে রওনা দেবে। ওখানেই কদিন ট্রলারগুলি থাকবে। ১৪ জুন রাতে সব ট্রলার গভীর সমুদ্রের দিকে রওনা দেবে। সুন্দরবন সামুদ্রিক মৎস্যজীবী শ্রমিক ইউনিয়নের সম্পাদক সতীনাথ পাত্র জানান, সমুদ্রে যাওয়ার প্রস্তুতি সারা প্রতিটি ট্রলারের। প্রথম পর্যায়ে জেলার হাজার তিনেক ট্রলার সমুদ্রে পাড়ি দেবে। জালে মাছ ভাল উঠলে দ্বিতীয় পর্যায়ে সব ট্রলারই সমুদ্রে পাড়ি দেবে। জানা গিয়েছে, আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী প্রচুর বৃষ্টি হলে নিশ্চিতভাবে এ বছর ভাল ইলিশ জালে ওঠার প্রভূত সম্ভাবনা আছে।