প্রতিবেদন : পাশবিক ঘটনা। স্কুলের শৌচালয়ে দুই শিশুর শ্লীলতাহানি করল স্কুলেরই এক কর্মী। নির্যাতিতা এক ছাত্রীর বয়স ৩, অন্যজনের ৪। অত্যন্ত ঘৃণ্য এই ঘটনা ঘটেছে বিজেপির মহারাষ্ট্রের থানেতে। মঙ্গলবার ঘটনাটা জানাজানি হতেই অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে এলাকা। প্রথমে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন স্কুলের অভিভাবকরা। নিমেষের মধ্যে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে। উত্তেজিত জনতা স্কুলে ঢুকে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। শুরু হয় রেল এবং রাস্তা অবরোধ। সকাল থেকেই বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা। স্কুলে এবং রেলস্টেশনে পাথর ছুঁড়তে শুরু করে উত্তেজিত জনতা। সামাল দিতে হিমশিম খেয়ে যায় বিশাল পুলিশবাহিনী। বিক্ষোভকারীদের দাবি, দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে অভিযুক্তকে।
আরও পড়ুন-একযোগে প্রতিবাদ তিন প্রধানের, ক্লাবের আবেগ ভাঙিয়ে রাজনীতি নয়
তৃণমূলের বক্তব্য, এই ধরনের ঘটনা অত্যন্ত নিন্দনীয়। এটা সামাজিক ব্যধী। কিন্তু এখন প্রাণ কাঁদছে না বাকিদের। মহারাষ্ট্রে ঘটেছে। গত ৪৮ ঘণ্টায় দেশের বিভিন্ন জায়গায় ঘটেছে। শুধু পশ্চিমবঙ্গকে ছোট করে দেখানোর চেষ্টা হচ্ছে। থানে জেলার বাদলাপুরের একটি কিন্ডারগার্টেন স্কুলের ঘটনা। ১২ অগাস্ট ৩ ও ৪ বছরের ওই ২ ছাত্রী তাদের বাবা-মায়েদের জানায়, স্কুলের টয়লেটে ওই অ্যাটেনডেন্ট তাদের সঙ্গে কী অসভ্যতা করেছে। সঙ্গে সঙ্গে শিশুদুটিকে নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে। পরীক্ষা করে তিনি জানান, একটি শিশুর গোপনাঙ্গে ক্ষতচিহ্ন পাওয়া গিয়েছে। ১৬ অগাস্ট অভিভাবকরা স্কুলে যান পুরো ঘটনাটা কর্তৃপক্ষকে জানাতে। কিন্তু তাঁদের ৩ ঘণ্টা বসিয়ে রাখা হয় বলে অভিযোগ। মঙ্গলবার পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। চাপে পড়ে পুলিশ জানায়, সিসিটিভি পরীক্ষা করে অভিযুক্ত স্কুলকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অবস্থা এতটাই নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় যে হস্তক্ষেপ করতে হয় গেরুয়াজোটের মুখ্যমন্ত্রীকে। পস্কো আইনে মামলার নির্দেশ দেওয়ার পাশাপাশি একজন স্পেশ্যাল পাবলিক প্রসিকিউটার নিয়োগের নির্দেশ দেন তিনি। তদন্তে বিলম্বের অভিযোগে বদলি করা হয় স্থানীয় থানার ওসিকে। পরিস্থিতি শান্ত করতে স্কুলের প্রিন্সিপ্যাল, এক শিক্ষক এবং একজন অ্যাটেনডেন্টকে সাসপেন্ড করা হয়। ঘটনার তদন্তে বিশেষ প্রতিনিধি দল পাঠাচ্ছে জাতীয় শিশু অধিকার রক্ষা কমিশন। তাদের অভিযোগ, আসল ঘটনা চাপা দিতে চাইছে স্কুল কর্তৃপক্ষ।