নেই সভ্রম, নেই সৌজন্যবোধ। গাংরার ব্লকের আজোলিয়া খেদা গ্রাম পঞ্চায়েতে অবস্থিত সালেরা সরকারি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে স্কুলের মধ্যেই স্কুলের প্রিন্সিপাল (principal) এবং শিক্ষিকার ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ছবি প্রকাশ্যে। এতটাই বিভোর যে হুঁশ নেই সিসিটভির দিকেও। তবে এবার সেই সিসিটিভি ফুটেজ নিমেষেই ভাইরাল হয়ে গেল সমাজ মাধ্যমে। এরপরেই দুই শিক্ষক-শিক্ষিকাকে সাসপেন্ড করে দিল চিত্তরগড় শিক্ষা দফতর। স্কুলের স্টাফ রুমে সিসিটিভি ফুটেজে একাধিক বার বিভিন্ন দিনে দুজনকে দেখা গিয়েছে ঘনিষ্ট অবস্থায়। সোফায় স্টাফ রুমে একে অপরকে চুমু খাচ্ছেন সেই ছবিও স্পষ্ট হয়েছে। ক্যামেরায় প্রধান শিক্ষক এবং শিক্ষিকাকে ওই অবস্থায় দেখে স্তম্ভিত গোটা স্কুল চত্বর। এহেন ঘটনার আপত্তি জানান অভিভাবকেরাও। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অবাধ যৌনতা শিশুদের ভবিষ্যতের জন্য ঠিক কতটা ক্ষতিকর হয়ে দাঁড়াচ্ছে এই নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন তারা।
আরও পড়ুন-স্কুলে নিয়ে যাওয়ার পথে দুর্ঘটনায় বলি ৪ বছরের শিশুর মা
চিত্তরগড় জেলা শিক্ষা আধিকারিক এই ঘটনার পর একটি নির্দেশিকা জারি করে ওই দুই শিক্ষক-শিক্ষিকাকে সাসপেন্ড করেন। প্রিন্সিপাল এবং শিক্ষিকার বিরুদ্ধে অভিযোগ পেয়ে ও ভাইরাল ভিডিয়োর ভিত্তিতেই তাঁদেরকে সাসপেন্ড করা হয়েছে বলেই জানানো হয়েছে। তদন্তের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। তদন্তের জন্য শিক্ষা দফতর তিন সদস্যের একটি কমিটি গড়ে দিয়েছে। স্কুলের প্রধান শিক্ষক বিষয়টি নিয়ে মুখ্য শিক্ষা আধিকারিকের অফিসে দফতরে রিপোর্ট জমা দেবেন। অন্য শিক্ষিকা আরেকটি অফিসে নিজের বক্তব্য জানাবেন। এক সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ জারি করা হয়েছে।