সফল নারীর ছায়াসঙ্গীরা

দিন পাল্টেছে। কালও। কালের সঙ্গে ভাবনা ও মানসিকতাও। আর তাই বুঝি প্রবাদও! প্রতিটি সফল পুরুষের পিছনে থাকে একজন নারী, এই প্রবাদ পরিমার্জিত হয়েছে। কারণ আশাবাদী সমাজ দেখছে, নারীদের সফল করে তুলতে পুরুষের সহমর্মী ভূমিকা! যথার্থ পাশে থাকা। হাতে হাত রাখা। সহজ কথাটা এখন তাই ঠিক ততটাই সহজ অনেক নারীর পেশাদারি সাফল্যের পিছনে। এমনই কিছু পরিচিত ও বিখ্যাত নারী তথা স্ত্রী ও তাঁদের বিখ্যাত স্বামীদের বোঝাপড়ার কথা জানালেন শর্মিষ্ঠা ঘোষ চক্রবর্তী

Must read

‘বিহাইন্ড এভরি সাকসেসফুল মেন দেয়ার ইজ এ উইমেন’ খুব প্রচলিত কথাটা লোকের মুখে মুখে প্রায় মুখস্থ। যুগ যুগ ধরে চলে আসা এই প্রবাদের মানে হল পুরুষেরাই শুধু চিরটাকাল মেয়েদের ঘাড়ে পা রেখে তরতরিয়ে মই বেয়ে উপরে উঠে গেছেন। আর মেয়েরা (Successful woman) কাঁধ পেতে নতজানু হয়ে তাঁর সেই প্রিয় পুরুষটির সাফল্যের সাক্ষী থেকেছেন। সোজা-সাপটা ব্যাখ্যা। কারণ উল্টোটি হওয়ার জো নেই। সফল নারীর নেপথ্যে পুরুষের উপস্থিতি বড়ই বিপজ্জনক। তাতে শান্তির চেয়ে অশান্তিই বেশি! সেই কারণেই স্বামী-স্ত্রী জটিল সম্পর্ক চলচ্চিত্রের প্রধান বিষয়।
১৯৭৩-এর মুক্তি পাওয়া হৃষীকেশ মুখার্জির হিট ছবি ‘অভিমান’-এর নামকরা গায়ক সুবীরকুমার দিন দুনিয়া থেকে দূরে শুধু ঘরকন্না সামলাবে বলেই বেছে নিয়েছিল উমাকে। কিন্তু বিধিবাম। উমার ট্যালেন্ট যে তাঁর চেয়েও বেশি। এটা সে বোঝেনি। উমার গানের প্রশংসা শুরু হল আর ধীরে ধীরে নবদম্পতির প্রেম সোজা শিকেয় উঠল। স্বামীর চেয়ে সফল স্ত্রী— সে-ও আবার মেনে নেওয়া যায় নাকি। এই ছবিতে অনবদ্য অভিনয় করেছিলেন অমিতাভ বচ্চন এবং জয়া ভাদুড়ী।
হিন্দি ছবি ‘আঁধি’র প্লটটাও অনেকটাই এরকম। নামকরা রাজনীতিবিদ সফল, নামজাদা স্ত্রীর সঙ্গে স্বামীর শেষ না হওয়া অনন্ত দূরত্ব।

টলিউডের হিট বাংলা ছবি প্রাক্তন-এও সেই এক ঝামেলা। প্রেমে হাবুডুবু খেয়ে সুদীপা বিয়ে করে বসল তার ট্যুর গাইড উজানকে। বিয়ের পরে বাধল গোল। ইগোক্ল্যাশ। শেষে বিচ্ছেদ। বলিউড, টলিউডি সেলেবদেরও সফল বিবাহিত জীবন খুব কমই দেখা গেছে। যে সেলেব দম্পতিরা টিকে গেছেন একটু লক্ষ্য করলে দেখা যাবে একজন স্যাক্রিফাইস করেছেন। কিন্তু সময় বদলেছে আর যুগের সঙ্গে বদলে গেছে অনেক কিছুই। এখন সমাজে যাঁরা আইকন তাঁরা বিয়েটাকেও আইকনিক করে রাখতে চাইছেন। সম্পর্ক নয়, ইগোকে শিকেয় তুলে নামী স্ত্রীর পাশে বুক ফুলিয়ে হাঁটছেন পুরুষেরা।

এসে গেছে হাউস হাজব্যান্ডের মতো কনসেপ্টও। একটি মেয়ে যদি স্বামীর পাশে হাউস ওয়াইফ হয়ে সারাটা জীবন কাটিয়ে দিতে পারে তাহলে একটি ছেলেই বা কেন পারবে না। সেটা যে সম্ভব তা বহু পুরুষ প্রমাণ করে ফেলেছেন ইতিমধ্যেই। একটি নামকরা আন্তর্জাতিক বিজনেস ম্যাগাজিনের সাম্প্রতিকতম সমীক্ষায় বোঝা গেছে বদলাচ্ছে সমীকরণ। ২০২৪-এ আমরা গর্ব করে বলতে পারি ‘বিহাইন্ড এভরি সাকসেসফুল উইমেন দেয়ার ইজ এ মেন’। বলিউড এবং টলিউডে রয়েছে এমন অনেক সেলেব কাপল যাঁরা বউ বলতে অজ্ঞান। তাঁরা নিজেরা নিজেদের ক্ষেত্রে একশো শতাংশ সফল হওয়ার পরেও স্ত্রীর পাশেই থেকেছেন।

ক্যাটরিনা কাইফ-ভিকি কৌশল
সম্প্রতি বিদেশের নামী ফ্যাশন ম্যাগাজিন ভ্যোগ ইন্ডিয়া ২০২৪-এর সেরা সাপোর্টিভ হাজব্যান্ডের তালিকায় প্রথমেই রেখেছেন বলিউডের সেলিব্রিটি কাপল ক্যাটরিনা কাইফ এবং ভিকি কৌশলকে। ক্যাট আর ভিকি বলিউডের মোস্ট হ্যাপেনিংস জুটি। দু’জনের দারুণ প্রেম। লুকোছাপা নেই সবকিছু সর্বসমক্ষেই, কিন্তু সত্যি কি তাঁরা সেরা জুটি? বিয়ের তিনবছর অতিক্রান্ত। দু’জনেই ব্যস্ত নিজেদের কর্মজীবন নিয়ে। তবে ক্যাটরিনা অনেকটাই বেশি ব্যস্ত। কারণ তিনি শুধু অভিনেত্রী নন, একজন উদ্যোগপতিও বটে। ব্যবসার কাজে অনেকটা সময় চলে যায় তাঁর। এই প্রচণ্ড ব্যস্তজীবনে ভিকি তাঁর অক্সিজেন। ক্যাট নিজে মুখে তাঁর এই ব্যস্ত জীবনে স্বামীর ভূমিকা এবং অনুপ্রেরণার কথা স্বীকার করেছেন। তিনি জানিয়েছেন ভিকিই তাঁকে কর্মজীবন এবং ব্যক্তিগত জীবনকে ব্যালান্স করতে শিখিয়েছেন। ক্যাটরিনা নাকি মাঝেমধ্যেই অতিরিক্ত মাত্রায় দুশ্চিন্তায় ভোগেন, অল্পেই ঘাবড়ে যান। সেই সময় স্ত্রীকে নিমেষে শান্ত করে দেন ভিকি। ওয়র্কিং ডে-তে বেশ সকালেই উঠতে হয় তাঁকে। তারপর নিজেকে তৈরি মোটামুটি ৪৫ মিনিট। ক্যাট যখন রেডি হন তখন তাঁর জামাকাপড় আয়রন করা থেকে টিফিন প্যাক, প্রয়োজনের জিনিসপত্র হাতের কাছে এনে দেওয়ার কাজটা করেন ভিকি। শুধু ভিকি নয় তাঁর গোটা পরিবার ক্যাটরিনাকে সব রকমভাবে সাহায্য করেন। ছুটির দিনে লাঞ্চ টাইমে ক্যাটের ঘুম ভাঙলে তাঁর সব প্রয়োজনের সামগ্রী তাঁর হাতের কাছেই এসে যায়। কখনও ডিনার টেবিলে বসে খাবারের প্লেটটা পড়ে থাকলে ভিকি তাঁর অজান্তেই টেবিলটা পরিষ্কার করে দেন। এমনকী শ্বশুরমশাইও তাঁর লাডলি বউমাকে কুটো নেড়ে দুটো করতে দেন না।

আরও পড়ুন- শিশুদের পুষ্টি জোগাতে বালুরঘাট হাসপাতালে কিচেন গার্ডেন

করিনা কাপুর-সইফ আলি খান
করিনা কাপুর যখন সইফ আলি খানকে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন কম সমালোচনা হয়নি। পতৌদি পরিবারের ছোট ছেলেটি তখনই দুই বাচ্চার বাবা আর করিনা সিঙ্গল। যদিও করিনা বিষয়টাকে পাত্তাই দেননি। নিজের পছন্দকেই গুরুত্ব দিয়ে গাঁটছড়া বেঁধেছিলেন সইফ আলি খানের সঙ্গে। নেটিজেনরা অনেকেই ভেবেছিলেন বিয়েটা বুঝি টিকবে না। একে তো করিনা সইফের চেয়ে বয়সে অনেক ছোট তার ওপর এমন একজন যে কিনা বিবাহিত। সইফের লাইফস্টাইল সম্পর্কেও সন্দিহান ছিলেন অনেকে। কিন্তু শত্রুর মুখে ছাই দিয়ে করিনার আর সইফ আজ এগারো বছর হ্যাপি কাপল। করিনা ইতিমধ্যে দুই সন্তানের মা। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ইন্টারভিউতে করিনা সইফের সম্পর্কে নিজেই স্বীকার করেছেন যে দুটো বাচ্চা নিয়ে কেরিয়ার ব্যালান্স অসম্ভবই হত যদি না সইফ থাকতেন তাঁর পাশে। তিনি তাঁর পেশা এবং সন্তান উভয়কেই ভালবাসেন। করিনা একাধারে প্যাশনেট মা এবং পরিশ্রমী অভিনেত্রী ফলে কোনওটার জন্য কোনওটা ত্যাগ করা সম্ভব ছিল না। সইফই তাঁকে সাপোর্ট দিয়েছে। কাজে ব্যস্ত থাকা সত্ত্বেও বাচ্চাদের দেখাশুনো করা থেকে শুরু করে সবরকমভাবে সাহায্য করেছে ফলে দিনে দিনে মজবুত হয়েছে তাঁদের সম্পর্ক।

কোয়েল মল্লিক-নিসপাল সিং
সদ্য দ্বিতীয়বার মা হলেন টলিউডের এক নম্বর অভিনেত্রী কোয়েল মল্লিক। এবার তিনি জন্ম দিয়েছেন একটি ফুটফুটে শিশুকন্যার। কোয়েলের বর নিসপাল সিং কন্যাকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্টও দিয়ে ফেলেছেন। নিসপাল ইন্ডাস্ট্রিতে রানে নামেই বেশি পরিচিত। ভাল ছেলে হিসেবে রানের সুনাম রয়েছে যথেষ্ট কিন্তু অনেকেই এটা জানেন না যে রানে একজন দারুণ হাজব্যান্ডও। টলিউডের এক নম্বর অভিনেত্রীর সঙ্গে সাতবছর ডেট করে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরেও তাঁর মধ্যে কোনও কমপ্লেক্স ছিল না স্ত্রীকে নিয়ে। বিয়ের পর কোয়েলের ওপর নিজের সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেননি। বিশেষ করে কোয়েলের কেরিয়ার নিয়ে প্রথমদিন থেকেই যথেষ্ট পরিমাণে সাপোর্ট করে গেছেন। কোয়েল নিজে বলেছেন রানে না থাকলে পরিবার এবং কর্মক্ষেত্র ব্যালেন্স করা তাঁর পক্ষে সম্ভবপর হত না। কোয়েলকে সবসময় এও বলতে শোনা গেছে রানে ঠিক হাজব্যান্ডের মতো নয়, সে তাঁর বেস্ট ফ্রেন্ড। ঠিক বাবার মতোই সারাক্ষণ তাঁকে যত্ন করে রাখেন। অতিরিক্ত কেয়ারিং হাজব্যান্ডের কারণেই কোয়েল তাঁর পেশাকে স্যাক্রিফাইস করতে হয়নি।

সিদ্ধার্থ মালহোত্রা-কিয়ারা আদবাণী
গতবছরই গাঁটছড়া বেঁধেছেন বলিউডের অভিনেত্রী কিয়ারা আদবানি আর সিদ্ধার্থ মালহোত্রা। বিয়ের পরে কিয়ারা সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন তাঁর পেশাগত সমস্যার সমাধান করতে সিদ্ধহস্ত সিদ্ধার্থ। তাঁকে যাবতীয় পরামর্শ দেয় সে। নানা কারণে কিয়িরাকে ট্রোলিং-এর শিকার হতে হয়েছে। এমন এক পরিস্থিতিতে তাঁর মাথা ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করেছেন সিদ্ধার্থ। অনেক বড় ক্রাইসিসও তিনি পার করতে সক্ষম হয়েছেন কারণ স্বামী সিদ্ধার্থ। ওঁর জ্ঞান, বুদ্ধি, পরিণত মন মানসিকতার প্রশংসা না করে পারেননি কিয়ারা।

শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়-রাজ চক্রবর্তী
টলিউডের পাওয়ার কাপল রাজ চক্রবর্তী এবং শুভশ্রী গাঙ্গুলি। ছ-বছর তাঁদের সুখী দাম্পত্য। কে না জানে শুভশ্রী যত না রাজ তাঁর স্ত্রীকে চোখে হারান। সম্প্রতি রাজ চক্রবর্তী একটি ইন্টারভিউতে বলেছেন যে তিনি তাঁর দুই সন্তানের চেয়েও অনেক বেশি ভালবাসেন পত্নী শুভশ্রীকে। তাঁর প্রেমটা আসলে পুজোর মতোই হয়ে গেছে। নেটিজেনরা কে জানেন না যে, বিয়ের পর শুভশ্রীর কেরিয়ার গ্রাফ আরও ঊর্ধ্বগামী। কেরিয়ারের মধ্যগগনে সন্তানের জন্ম দেওয়া এবং বড় করে তোলা তাঁর কাছে জলভাতের মতো সহজ হয়েছে তার কারণ তাঁর স্বামী, বন্ধু, সহকর্মী রাজ চক্রবর্তীর জন্য। রাজ কিন্তু সবসময় শুভশ্রীর পাশে থেকেছেন। রাজের ব্যানারে ভাল ভাল ছবি করেছেন শুভশ্রী, পাশাপাশি কেরিয়ারের অন্য দিকগুলোতেও মনোযোগী হতে পেরেছেন তিনি। করোনার সময় শুভশ্রীর করোনা হয়েছিল। তখন ইউভান খুব ছোট। রাজ এবং তাঁর পরিবার এতটুকু বুঝতে দেননি সমস্যা। সদ্য এক কন্যাসন্তানের মা হয়েছেন শুভশ্রী। ইয়ালিনির জন্মের পরেও এতটুকু ফাঁক পড়েনি তাঁর কেরিয়ারে। রাজ সবসময় পাশে থেকেছেন। শুভশ্রীকেও ট্রোলড হতে হয়েছে বিভিন্ন সময়। স্বামী রাজ চক্রবর্তীর কারণে জীবনের কোনও বাধাই বাধা হয়ে ওঠেনি তাঁর জীবনে। বয়ফ্রেন্ড, স্বামী দুটো ভূমিকায় রাজকে পুরো নম্বর তো দিয়েইছেন শুভশ্রী, সেই সঙ্গে ছেলে, ভাই, বাবা, মা— সব ভূমিকায় সব দায়িত্বপালনে রাজ একনম্বরেই। রাজের এই গুণগুলোই শুভশ্রীর মন ছুঁয়েছে সবসময়।

ইমন চক্রবর্তী-নীলাঞ্জন ঘোষ
টলিপাড়ার মোস্ট টকড কাপলদের মধ্যে পড়েন সঙ্গীত শিল্পী ইমন চক্রবর্তী এবং সঙ্গীত পরিচালক নীলাঞ্জন ঘোষ। তাঁরা যে শুধু একসাথে গান বাঁধেন তা নয়, বরং চুটিয়ে উপভোগ করেন একে-অপরের সঙ্গ। মা নেই ইমনের। বাবার পাশাপাশি স্বামী নীলাঞ্জন ঘোষ কিন্তু তাঁর প্রতি ভীষণই যত্নবান। স্ত্রী যাতে শারীরিকভাবে অসুস্থ না হয়ে যান, তাঁর যাতে গানের কেরিয়ারে কোনও ক্ষতি না হয়, সেদিকে সারাটাক্ষণ নজর রাখেন স্বামী নীলাঞ্জন। ইমন চক্রবর্তীর কথায় তাঁর স্বামীই তাঁকে নিয়মিত যোগাভ্যাস করতে বলেন। স্বামীর কথামতো নাকি রোজ সকালে উঠে যোগা করেন ইমন। ইমনের খাওয়াদাওয়ার দিকটাও দেখভাল করেন নীলাঞ্জন। সঙ্গীত পরিচালক স্বামীর বিষয়ে ইমন নিজে মুখে জানিয়েছেন যে, আমার স্বামীর কারণেই অনেক ডিসিপ্লিনড হয়ে গিয়েছি। আড্ডা দিই বন্ধুদের সঙ্গে। সবই তো গান-বাজনা দুনিয়ার বন্ধুবান্ধব। জোরে কথা বললে বলেই আমাকে এসে বোঝায় যাতে আমি আস্তে কথা বলি। যাতে আমার গলাটা না নষ্ট হয়ে যায়। দীর্ঘদিন সম্পর্কে থাকার পর নীলাঞ্জনকে বিয়ে করেছেন ইমন। বিয়ের পরে চুটিয়ে সংসার আর কেরিয়ার দুই-ই সামলাচ্ছেন তিনি অবশ্যই পাশে রয়িছেন স্বামী। ইমন যে স্বামী-সোহাগী, তা অনেকবারই প্রমাণিত হয়েছে। পায়ে চোট পেয়েছিলেন ইমন। সেই পা নিয়েই মঞ্চে পুরো জোশের সঙ্গে পারফর্ম করেছিলেন গায়িকা। নীলাঞ্জন কিন্তু সেই সময় ইমনের প্রচণ্ড যত্ন নিয়েছিলেন। অসুস্থ স্ত্রীর জন্য রান্নাঘরে খুন্তিটাও ধরেছেন নীলাঞ্জন। কেবল একদিন নয়, রোজই তিনি যত্নে রাখেন স্ত্রীকে।

Latest article