ফ্লয়েডকাণ্ডের ছায়া অস্ট্রেলিয়ায়, পুলিশের হাঁটুর চাপে কোমায় ভারতীয় বংশোদ্ভূত তরুণ

আমেরিকার ফ্লয়েডকাণ্ডের ছায়া এবার অস্ট্রেলিয়ায়। ২০২০ সালে জর্জ ফ্লয়েড খুনের স্মৃতি উস্কে ফের পুলিশি অত্যাচার।

Must read

প্রতিবেদন : আমেরিকার ফ্লয়েডকাণ্ডের ছায়া এবার অস্ট্রেলিয়ায়। ২০২০ সালে জর্জ ফ্লয়েড খুনের স্মৃতি উস্কে ফের পুলিশি অত্যাচার। হাঁটু দিয়ে মাটিতে চেপে গলা ধরার সেই ভয়াবহ দৃশ্য এবার ধরা পড়ল অস্ট্রেলিয়ার রাস্তায়। পুলিশের হাঁটুর ফাঁকে প্রাণপণে চিৎকার করছেন এক যুবক, ‘আমি কোনও ভুল করিনি।’ কিন্তু পুলিশ তখন আরও নির্মমভাবে বলপ্রয়োগ করছে। এই ঘটনায় এবার আক্রান্ত এক ভারতীয় বংশোদ্ভূত যুবক। নাম গৌরব কুন্ডি। পুলিশের হাঁটুর চাপে তাঁর মস্তিষ্কে এতটাই ক্ষতি হয়েছে যে তিনি কোমায় চলে গিয়েছেন।

আরও পড়ুন-জামিন খারিজ চিন্ময়প্রভুর

অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডিলেড শহরে ঘটেছে এই নৃশংস ঘটনা। গৌরব এবং তাঁর স্ত্রী অমৃতপাল কউরের মধ্যে রাস্তার মধ্যে কথা-কাটাকাটি চলছিল। সেই মুহূর্তে টহলরত পুলিশের একটি গাড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। পুলিশ গার্হস্থ্য হিংসার ঘটনা ভেবে গৌরবকে গ্রেফতার করে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত অমৃতপাল বারবার পুলিশকে জানান, এটি কোনও গার্হস্থ্য হিংসা নয়, গৌরব মদ্যপান করেছিলেন তাই উচ্চস্বরে কথা বলছিলেন। কিন্তু তাঁর অনুরোধে কর্ণপাত না করে এক পুলিশ অফিসার রাস্তায় ফেলে গৌরবের গলা হাঁটু দিয়ে চেপে ধরেন। গৌরব তখনই বারবার বলতে থাকেন, আমি কোনও অন্যায় করিনি। তরুণের স্ত্রী অমৃতপাল কউরের অভিযোগ, পুলিশ গাড়ির পাশে গৌরবের মাথা জোরে ঠুকে দেয়। তিনি বারবার পুলিশকে অনুরোধ করেন গৌরবকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য। কিন্তু তাতে উল্টে অমৃতপালকেই গ্রেফতার করতে উদ্যত হয় পুলিশ। কিছুক্ষণের মধ্যেই সেখানে জ্ঞান হারান গৌরব। এরপর তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বর্তমানে গৌরব লাইফ সাপোর্টে রয়েছেন। তাঁর স্ত্রী সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, গৌরবের মস্তিষ্ক সম্পূর্ণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। উনি এখন কোমায়।

Latest article