শহিদ ক্ষুদিরামের (Khudiram Bose) ফাঁসির রায়ের ঐতিহাসিক নথি পৌঁছল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। তিনি খতিয়ে দেখেছেন। যেভাবে বিজেপি ক্ষুদিরাম বোসকে ক্ষুদিরাম সিং করেছেন তার প্রতিবাদে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চাইছেন বাংলা থেকে ঝড় উঠুক। এই অপমান কেন? বাঙালি কিশোর ফাঁসির মঞ্চে যিনি জীবন দিয়েছেন অবাঙালিরা হিন্দিতে সিনেমা বানিয়ে ক্ষুদিরাম বোসকে ক্ষুদিরাম সিং লিখবে! এমনকি তাঁকে পাঞ্জাবের ছেলে হিসেবেও দেখানো হয়েছে। এরই প্রতিবাদ করুক বঙ্গবাসী চাইছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন- অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটি গড়ার পরেই মুখ্যসচিবকে তলব কমিশনের
বাঙালি দেখলে অপমান, অত্যাচার, হেনস্থা। কেন? স্বাধীনতার জন্য যাঁরা জীবন দিয়েছেন তাঁদের অপমান কেন? এটাই যেন বিজেপির প্রথা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ক্ষুদিরাম বসুর ১১৮তম আত্মবলিদান দিবসে তাঁকে স্মরণ করে ভাষা-সন্ত্রাসীদের তুলোধনা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি জানিয়েছিলেন, “সম্প্রতি একটি হিন্দি ছবিতে বিপ্লবী ক্ষুদিরামকে ‘সিং’ বলা হয়েছে। স্বাধীনতার জন্য যাঁরা জীবন দিয়েছেন তাঁদের অপমান করা হচ্ছে কেন? পথিকৃৎ অমর বিপ্লবী ক্ষুদিরামকে ধরেও টানাটানি করবে ভাষা-সন্ত্রাসীরা?
আমাদের মেদিনীপুরের অদম্য কিশোরকে দেখানো হয়েছে পাঞ্জাবের ছেলে হিসেবে। অসহ্য!
আমরা কিন্তু সবসময় দেশপ্রেম ও সর্বোচ্চ আত্মত্যাগের প্রতীক এই মানুষটিকে শ্রদ্ধা জানিয়েছি।
ক্ষুদিরাম বসুর জন্মস্মৃতি বিজড়িত মহাবনী ও সংলগ্ন অঞ্চলের আরো বেশি উন্নয়নের জন্য মহাবনী ডেভেলপমেন্ট অথরিটি করেছি।
এছাড়া মহাবনীতে শহীদ ক্ষুদিরামের (Khudiram Bose) মূর্তি স্থাপন থেকে শুরু করে পাঠাগার সংস্কার, নতুন একটি সুবিশাল অডিটোরিয়াম, কনফারেন্স রুম – সবই করা হয়েছে। একটি মুক্তমঞ্চও করা হয়েছে। পাশাপাশি দর্শনার্থীদের জন্য নির্মিত হয়েছে আধুনিক কটেজ, ঐতিহ্যবাহী ক্ষুদিরাম পার্কের পুনরুজ্জীবন করা হয়েছে। পুরো এলাকাটাকে আলো দিয়ে সাজানোও হয়েছে।
শুধু তাঁর জন্মস্থান মেদিনীপুরেই নয়, এই মহান বিপ্লবীকে শ্রদ্ধা জানাতে কলকাতায় একটি মেট্রো স্টেশনের নামও আমরা ওনার নামে রেখেছি। আমরা গর্বিত।