গত সোমবার লালকেল্লার কাছে বিস্ফোরণের ঘটনার অন্যতম প্রধান চক্রী ডাক্তার শাহিন শাহিদকে (Shahin) ঘিরে চাঞ্চল্যকর তথ্য গোয়েন্দাদের হাতে। সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ চালানোর জন্য ‘নেটওয়ার্ক’ বাড়াতে উত্তরপ্রদেশে কর্মরত ৩০ থেকে ৪০ জন ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল শাহিনের। এছাড়াও উত্তরপ্রদেশে ২০০ জন কাশ্মীরি ডাক্তার এখন সন্দেহের তালিকায়। সংখ্যাটা আরও বাড়তে পারে বলে সন্দেহ গোয়েন্দাদের। আল-ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের হোস্টেলে থাকা ডঃ শাহিন হরিয়ানার ধৌজের একটি মসজিদের ঠিকানা ব্যবহার করে সিম কার্ড সংগ্রহ করেছিলেন। এই নম্বরটিই তিনি সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করতেন। শাহিন লখনউতে তার বাবার বাসভবনকে স্থায়ী ঠিকানা হিসেবে উল্লেখ করেননি। তিনি তার ভাই পারভেজ আনসারির ঠিকানা দিয়েছেন। এই সপ্তাহের শুরুতে লখনউতে তার বাসভবনে অভিযান চালিয়ে তাঁকে আটক করা হয়। শাহিনের রেকর্ড বিশ্লেষণ করার সময় দেখা গিয়েছে যে তিনি ২০১৩ সালে কানপুরে চাকরি ছেড়ে দেওয়ার পর অল্প সময়ের জন্য থাইল্যান্ড ঘুরতে যান।
আরও পড়ুন-প্রয়াত বর্ষীয়ান অভিনেত্রী ভদ্রা বসু
দিল্লির বিস্ফোরণের পরে তদন্তে নেমে শাহিনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁকে জেরা করে পুলিশ জানতে পারে তুরস্ক, পাকিস্তান, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি, মালয়েশিয়া, মলদ্বীপ এবং বাংলাদেশে জাল ছড়িয়ে আছে শাহিনের। দিল্লিতে নাশকতার পরে পাকিস্তানে পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল তাঁর। পাকিস্তান সেনার এক ডাক্তারের সঙ্গেও নিয়মিত যোগাযোগ রেখেছিলেন তিনি। এই ‘হোয়াইট কলার মডিউল’-এর সক্রিয় সদস্য তৈরি করার জন্য নিজের ভাই ডাক্তার পারভেজকেও ট্রেনিং দেন তিনি। ভাইয়ের মাধ্যমে অন্য ডাক্তারদের অস্ত্র পাঠাতেন শাহিন। নিজেকে বাঁচাতে পারভেজকে স্মার্টফোনও ব্যবহার করতে দিতেন না।
আরও পড়ুন-বিরসা মুন্ডার সার্ধশতবর্ষপূর্তিতে মুখ্যমন্ত্রীর শ্রদ্ধার্ঘ্য
গোয়েন্দাদের তরফে জানানো হয়েছে জৈশ-ই-মহম্মদের মতো বেশ কয়েকটি সংগঠন তাদের নাশকতামূলক কাজের জন্য সাধারণত শিক্ষিত লোকজনকে কাজে লাগায়। দিল্লি-সহ বড় শহরগুলিতে নাশকতার ছক ছিল তাদের। তাই দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ ও কাশ্মীরের ডাক্তার এবং ডাক্তারি পড়ুয়াদের টার্গেট করা হয়েছিল। ইতিমধ্যেই অনেককে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।

