প্রতিবেদন : গুজরাতের মাচ্ছু নদীতে সেতু ভেঙে পড়ার ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। বিশ্বির বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন সময়ে এভাবে সেতু ভেঙে বহু মানুষের প্রাণ গিয়েছে। দুর্ঘটনার নিরিখে আপাতত গুজরাত রয়েছে ষষ্ঠ স্থানে৷ এখনও পর্যন্ত সেতু ভেঙে সবচেয়ে বড় দুর্ঘটনাটি ঘটেছে পতুর্গালে। ১৮০৯ সালে ফ্রান্স পর্তুগাল আক্রমণ করেছিল। সে সময় প্রাণ বাঁচাতে পর্তুগালের বহু মানুষ সেদেশের পর্তো সেতু পেরিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু অতিরিক্ত মানুষের চাপে পর্তো সেতু ভেঙে পড়লে কমপক্ষে চার হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছিল।
আরও পড়ুন-টু ফিঙ্গার টেস্ট নিষিদ্ধ করল সুপ্রিম কোর্ট
জাপানের ইতাই-বাশি সেতু ভেঙে মৃত্যু হয়েছিল প্রায় ১৪০০ মানুষের। ১৬৯৮ সালে তৈরি এই ইতাই-বাশি সেতুটি রক্ষণাবেক্ষণ কে করবে তা নিয়ে সেতুর দুই পারের মানুষের মধ্যে তীব্র মতভেদ ছিল। যে কারণে সেতুটি ঠিকমতো রক্ষণাবেক্ষণ না করায় ভেঙে পড়ে। তাতেই এই বিপুল পরিমাণ মানুষের প্রাণ গিয়েছিল।
১৮৫০ সালে ভেঙে পড়েছিল ফ্রান্সের অ্যাঞ্জার্স সেতু। সে সময় ওই সেতু দিয়ে সেনা ও কয়েকজন সাধারণ মানুষ যাচ্ছিলেন। হঠাৎই শুরু হয় প্রবল ঝড়। সে সময় ওই সেতুটি ভেঙে পড়লে ২২৬ জনের মৃত্যু হয়।
১৯৮৩ সালের ৫ জুন রাশিয়ার উলানসেভাকে একটি রেলসেতু ভেঙে প্রাণ হারিয়েছিলেন ১৭৭ জন। রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে সেতুটি ভেঙে পড়ে৷
১৯৫৩ সালের বড়দিনের আগের রাত। ওই দিন নিউজিল্যান্ডের হোয়ানগাহু রেল সেতু দিয়ে একটি ট্রেন যাচ্ছিল। নদীতে জলের প্রবল চাপে সে সময় সেতুটি ভেঙে পড়লে ১৫১ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
আরও পড়ুন-আন্তর্জালিক বেতার বা ইন্টারনেট রেডিও-র বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা
২০০২ সালে বিহারের রফিগঞ্জে রফিগঞ্জ রেলসেতু ভেঙে পড়ার ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল ১৩০ জনের।
১৯৮১ সালের ১৭ জুলাই আমেরিকার কানসাস শহরে হায়াত রিজেন্সি সেতু ভেঙে ১১৪ মানুষ প্রাণ হারান।
২০০৫ সালের ২৯ অক্টোবর প্রবল বন্যায় ভারতের ভেলিগোন্ডা রেলসেতু ভেঙে ১১৪ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
১৯৫২ সালের ৮ অক্টোবর ব্রিটেনের হ্যারো অ্যান্ড ওয়েল্ডস্টোন স্টেশনে ফুটব্রিজ ভেঙে ১১২ জনের মৃত্যু হয়।