নির্লজ্জ! দায়িত্বে থাকা পুলিশ আধিকারিককে ‘চটি’ ছুড়লেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি, নিন্দায় সরব তৃণমূল নেতৃত্ব

এরপরেই পুলিশের বাধা পেয়ে সেখান থেকে সোজা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে তুলসী বেদী পৌঁছে দিতে গেলেন সুকান্ত মজুমদার।

Must read

মহেশতলায় (Maheshtala) সংঘর্ষের ঘটনার রেশ কাটার আগেই হিন্দুত্বের ধ্বজা নিয়ে মাঠে নেমে পড়ল বিজেপি শিবির। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এদিন মহেশতলায় যাওয়ার চেষ্টা করলে জিঞ্জিরাবাজারে তাঁর গাড়ি আটকে দিয়েছে পুলিশ। পরিস্থিতি সামাল দিতে রবীন্দ্রনগর এলাকায় ১৬৩ ধারা জারি রয়েছে। যেকোন রকম অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে কোনও রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিকেই পুলিশ সেখানে পৌঁছতে দিচ্ছে না।

এরপরেই পুলিশের বাধা পেয়ে সেখান থেকে সোজা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে তুলসী বেদী পৌঁছে দিতে গেলেন সুকান্ত মজুমদার। বিজেপির অভিযোগ, রাজ্যে ‘হিন্দু-বিরোধী’ সরকার চলছে। কিন্তু কালীঘাট ঢোকার মুখেই বিজেপির রাজ্য সভাপতি-সহ দলের অন্য নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার করে পুলিশ। ইতিমধ্যেই বিজেপি নেতৃত্বের একটি ভিডিও নেট দুনিয়ায় ভাইরাল। সেখানে দেখা যাচ্ছে গাড়িতে ওঠার সময়, সুকান্ত মজুমদার সাংকেতিক একটি চটি ছুঁড়ে দেন ডিউটিরত পুলিশ আধিকারিকদের দিকে। আর সেটা গিয়ে লাগে পাগড়ি পরা এক পুলিশ আধিকারিকের মাথায় যা অত্যন্ত নিন্দনীয় ও অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়। সুকান্তর এহেন আচরণে নিন্দায় সরব হয়েছে গোটা রাজনৈতিক মহল। দায়িত্বপ্রাপ্ত একজন পুলিশ আধিকারিকের এভাবে সম্মানহানি করা যায় না। প্রসঙ্গত, পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, রবীন্দ্রনগর ও নাদিয়াল থানা এলাকায় বুধবারের অশান্তির ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৪০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সবমিলিয়ে মোট ৭টি মামলা রুজু করা হয়েছে।

এদিন সুকান্ত মজুমদারের এই ন্যক্কারজনক আচরণের নিন্দা করে এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব। লেখা হয়, ”বিজেপির ঘৃণার কোন সীমা নেই, এমনকি যখন এটি একটি গোটা সম্প্রদায়কে উপহাস করার বিষয় আসে তখনও নয়। প্রথমে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী একজন পাগড়ি পরা পুলিশ অফিসারকে “খালিস্তানি” বলে আখ্যা দেন। এবার, তাঁদের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার একজন কর্তব্যরত অফিসারের পাগড়িতে চটি ছুঁড়ে মারেন। এটি প্রতিটি শিখ, প্রতিটি উর্দিধারী অফিসার, মর্যাদা ও শালীনতায় বিশ্বাসী প্রতিটি ভারতীয়ের অপমান। ক্ষমতার নেশায় মত্ত, অহংকারে অন্ধ এবং ঘৃণায় উজ্জীবিত বিজেপি জনপ্রতিনিধি হওয়ার যোগ্যতা রাখে না। বিজেপি এটাই। তাদের কাছে মানবিকতা, মূল্যবোধের কোনও গুরুত্ব নেই। তাঁরা শুধুমাত্রই সহিংসতায় বিশ্বাসী।”

Latest article