প্রতিবেদন : বিজেপি-আইএসএফ আঁতাঁতের পর্দাফাঁস। বিজেপির মথুরাপুর সাংগঠনিক জেলা কার্যালয়ে আইএসএফের সাংগঠনিক সভা। সভার কথা সামনে আসতেই ড্যামেজ কন্ট্রোলে দুই শিবির। কিন্তু তাতেও সামাল দেওয়া যাচ্ছে না পাপ। এ-রাজ্যে বিজেপি-আইএসএফ আঁতাঁত নিয়ে বারবার সরব হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূলের অভিযোগ, রাজ্যে অশান্তি পাকাতে এই দুই দল গোপন বোঝাপড়া করেছে। এতদিন সেই অভিযোগ উড়িয়ে দিলেও শনিবার একেবারে প্রকাশ্যে চলে এল সেই পাপ।
আরও পড়ুন-কেন্দ্রীয় শিশু কমিশনের অসভ্যতা-গুন্ডামি, সঙ্গে বিজেপি নেতা, গ্রামবাসীদের বিক্ষোভ
বিজেপির ডেরায় বসে আইএসএফ নেতাদের বৈঠক তৃণমূলের অভিযোগেই সিলমোহর দিল। জানা গিয়েছে, শনিবার বেলার দিকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলপির রামকৃষ্ণপুরে বিজেপির মথুরাপুর সাংগঠনিক জেলার দফতরে পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে বৈঠক করে কুলপি ব্লক আইএসএফ। বৈঠকের আগে ওই দফতের বাইরে থাকা বিজেপির পতাকা, ফেস্টুন, বোর্ড খুলে দেন বিজেপি কর্মীরা। বেশ কয়েক ঘণ্টা ধরে চলে এই বৈঠক। তাঁদের অফিসে আইএসএফের এই সভার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য তথা কুলপির বাসিন্দা কৃত্তিবাস সর্দারও। তিনি মেনে নেন, ওই হল ঘরটি বিজেপির মথুরাপুর সাংগঠনিক জেলার অফিস।
আরও পড়ুন-কড়া প্রশাসন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে, হাওড়াকাণ্ডে তদন্ত শুরু সিআইডির
তবে এদিনের বৈঠক সম্পর্কে তাঁর কিছু জানা নেই বলেই দাবি করেন তিনি। ঘটনার পর আইএসএফ-এর কুলপি ব্লক সভাপতি নুর সালাম গাজির সাফাই, বৈঠকের জন্য কোনও হল পাওয়া যাচ্ছিল না। শেষে একটি ট্রাস্টের থেকে হলটি ভাড়া করা হয়। তবে এটা বিজেপির কার্যালয় কিনা তা জানেন না বলেই দাবি করেন তিনি। তৃণমূল কুলপি ব্লক সভাপতি সুপ্রিয় হালদার বলেন, আমরা আগেও বলেছি আইএসএফ-বিজেপির গোপন আঁতাঁত আছে। আজকের ঘটনায় সেই অভিযোগই প্রমাণিত হল।