বিপর্যয়ে ফটোশ্যুট? স্থানীয়দের বিক্ষোভের মুখে শংকর-খগেনরা

Must read

সংবাদদাতা, নাগরাকাটা: সারা বছর মানুষের পাশে পাওয়া যায় না তাঁদের। মানুষ যখন চরম বিপদে তখন লোক দেখানো সহানূভুতি দেখাতে গিয়ে উত্তরবঙ্গের নাগরাকাটায় স্থানীয়দের তুমুল বিক্ষোভের মুখে পড়লেন দুই বিজেপি নেতা সাংসদ খগেন মূর্মু ও বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। জনরোষের মুখে পড়ে দেহরক্ষী নিয়ে কার্যত পালিয়ে আসতে হয় তাঁদের।ঘটনার পর এই নিয়ে বিভিন্নমহল থেকে বিভ্রান্তিমূলক প্রচার শুরু হয়েছে। এই প্রচারের কড়া জবাব দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। দলনেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রীও এই ঘটনার পর জানিয়েছেন, এই ধরনের উগ্র ক্ষোভের ঘটনা ঠিক নয়। এটা বিপদের সময়। এখন সবারই সংযত থাকা উচিত। ওই ঘটনা নিয়ে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, প্রথমেই আমরা স্পষ্ট করে বলছি, এই ধরনের কোনও হিংস্রতা, আক্রমণ বা হামলার ঘটনা তৃণমূল কংগ্রেস কোনও ভাবেই সমর্থন করে না। তবে আজ যা ঘটেছে, তা সম্পূর্ণভাবে বিজেপির নিজেদের কর্মফল। এরা সারা বছর মানুষের পাশে থাকেন না। কোনও যোগাযোগ নেই। যখন মানুষ চরম বিপদে, ক্ষতিগ্রস্ত, তখন বিজেপি নেতারা ১০টি গাড়ির কনভয় নিয়ে কেন গিয়েছিলেন? ফটোশুটের জন্য? তাঁদের সঙ্গে তো কোনও ত্রাণ সামগ্রী ছিল না। তাহলে এই সময় তাঁরা হঠাৎ কেন যাবেন? এর ফলে খুব স্বাভাবিক ভাবেই তাঁরা স্থানীয়দের ক্ষোভের মুখে পড়েছেন। বিপদে থাকা ক্ষুব্ধ মানুষ এই ঘটনা ঘটিয়ে ফেলেছে। এরা রাজ্যের মানুষের প্রাপ্য দেয় না। অথচ এখন গিয়েছে ছবি তুলতে!এটা বিজেপির দীর্ঘদিনের অন্যায় ও মানুষকে অবহেলার করার ফল। প্রথমে মানুষকে বঞ্চিত করে, তারপর তাদের দুঃসময়ে গিয়ে ফটোশুট করা, এটাই এই বিজেপির কাজের ধারা। বাংলার মানুষ তাঁদের এই কায়দা ধরে ফেলেছে। তারই বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে নাগরাকাটায়। কুণাল আরও বলেন, বিপদের সময় যখন বিজেপি নেতারা ছবি তোলার চেষ্টায় ব্যস্ত, তখন তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা শুরু থেকেই মাটি কামড়ে পড়ে আছেন। মানুষকে সাহায্য করে চলেছেন অক্লান্ত ভাবে।বিজেপির সোশ্যাল মিডিয়া যোদ্ধাদের মতো কেবল পোস্ট দিয়ে নয়, বাস্তবে পাশে থেকে।

আরও পড়ুন-দামোদরে ৪৫ কিমি জলের সঙ্গে লড়াই করে জীবনযুদ্ধে জয়ী ৭৫-এর মাতুরি

Latest article