নয়া রাজ্য কমিটি নিয়ে এবার প্রকাশ্যে বিজেপির বিদ্রোহ। বৈঠকের পরে রাজ্য নেতৃত্বের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর।
90% মানুষকে বাদ দিয়ে কীভাবে বিজেপির রাজ্য কমিটি তৈরি হল? শনিবার দুপুরে কলকাতার পোর্ট ট্রাস্টের গেস্ট হাউসে বিক্ষুব্ধ নেতাদের নিয়ে বৈঠকের পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে একের পর এক তোপ দাগলেন বিজেপি (Bjp) নেতা তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর (Shantanu Thakur)। বিজেপির (Bjp) সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) অমিতাভ চক্রবর্তীর (Amitabh Chakraborty) নাম না করে শান্তনুর অভিযোগ, “যেভাবে দলকে কুক্ষিগত করা হচ্ছে, তাতে মনে হচ্ছে অন্য দলের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ আছে।” সাংবাদিকরা নাম জিজ্ঞাসা করলে শান্তনু বলেন, “আপনারা বুঝতেই পারছেন আমি কার দিকে ইঙ্গিত করছি।”
আরও পড়ুন – বঙ্গবিজেপি কি মৃত্যুপথযাত্রী? তথাগতর টুইট নিয়ে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি
নতুন রাজ্য কমিটি তৈরি হওয়ার পর থেকেই গেরুয়া শিবিরের অন্দরে বিক্ষোভ তুষের আগুনের মতো ছড়িয়েছে। একের পর এক মন্ত্রী-নেতারা ছেড়েছেন হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ। প্রকাশ্যে দল বিরোধী মন্তব্য করেছেন অনেকেই। একজোট হয়ে বিক্ষুব্ধ নেতারা বৈঠকও করেছেন। এদিন বৈঠকে ছিলেন শান্তনু ঠাকুর, জয়প্রকাশ মজুমদার, রীতেশ তিওয়ারিরা।
বিজেপির রাজ্য কমিটিতে মতুয়া প্রতিনিধিরা নেই। তপশিলি সম্প্রদায় প্রতিনিধি অত্যন্ত কম। এই বিষয় নিয়ে এদিন ক্ষোভ উগরে দেন শান্তনু। তিনি স্পষ্ট জানান, এই কমিটিতে সবার প্রতিনিধিত্ব নেই। “যাঁরা ২ শতাংশ থেকে ৪০ শতাংশে নিয়ে গিয়েছেন তাঁদের বাদ দেওয়ার কারণটা কী?” শান্তনু বলেন, “আমাদের লক্ষ্য প্রধানমন্ত্রীজি ও বিজেপির হাতকে শক্ত করা। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে বর্তমানে যে কমিটি তৈরি হয়েছে তাদের দলকে বৃহত্তর জায়গায় নিয়ে যাওয়ার কোনও উদ্দেশ্য নেই। উপরের নেতাদের ভুল বার্তা দিয়ে কমিটি তৈরি হয়েছে। বিজেপির নতুন কমিটি দেখে মনে হয় না, এ রাজ্যে বিজেপি এগিয়ে যেতে পারবে”।
কোনও নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ তা প্রকাশ্যে বলবেন না বলে জানান শান্তনু। তিনি বলেন, “দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে সময়মতো জানাবো। আমরা তাঁর অপসারণ চাইছি।” সূত্রের খবর, এই বিষয় নিয়ে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে দরবার করবেন বিক্ষুব্ধরা।
তবে, এদিন বৈঠকের আগে এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। জয়প্রকাশদের লক্ষ্য করে “সেটিংবাজ, চিটিংবাজ নেতা দূর হাটো”, “সেটিং নেতারা সাবধান”- এই সব পোস্টার পড়ে।