সংবাদদাতা, নদীয়া : কালীপুজোর উৎসবে মাতোয়ারা গোটা রাজ্য। বাংলার অন্যতম ঐতিহ্যবাহী ও জনপ্রিয় পুজো হল শান্তিপুরের মহিষখাগী মায়ের আরাধনা। সাড়ে পাঁচশো বছরের প্রাচীন প্রথা মেনে মহিষখাগী মায়ের নিরঞ্জন যাত্রায় প্রতিবার অসংখ্য মানুষ ভিড় জমান। হাজার হাজার ভক্তের কাঁধে চড়ে মা রওনা দেন নিরঞ্জনের পথে। কথিত রয়েছে, ৫৫০ বছর আগে কৃষ্ণনগরের রাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায়কে স্বপ্নাদেশ দিয়েছিলেন দেবী। তারপরই মায়ের মন্দির স্থাপন করেছিলেন রাজা।
আরও পড়ুন-দমকলের আধুনিকীকরণে মাস্টারপ্ল্যান
প্রথমে এক তান্ত্রিকের কুঁড়েঘরে দেবীর আরাধনা হত। আগে কয়েকশো বছর ধরে ১০৮টি মহিষের বলি দিয়ে দেবীর পুজো হত বলে মা ‘মহিষখাগী’ নামে পরিচিত গোটা জগতে। মায়ের ভোগেও থাকে বিশেষ মাহাত্ম্য। পাকা ভোগে দেওয়া হয় খয়রা ও রুই মাছ। এরপর দেবীকে পাট থেকে নামিয়ে বরণ করা হয়। আর দেবীকে পাট থেকে নামাতেই মন্দিরপ্রাঙ্গণে হাজার হাজার ভক্তের সমাগম ঘটে। এরপর ভক্তদের কাঁধে চড়ে নিরঞ্জনের পথে রওনা দেন মা মহিষখাগী। শান্তিপুরের রাজপথেও হাজার-হাজার ভক্ত মাকে একবার দর্শনের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকেন। মহিষখাগী মায়ের সঙ্গে এভাবেই মানুষের আবেগ জড়িয়ে থাকে। এই অনন্য ছবি একমাত্র দেখা যায় নদীয়ার শান্তিপুরেই। প্রতিবছরের মতো এবছরও মায়ের নিরঞ্জনের সময় একইভাবে কয়েকহাজার ভক্তের সমাগম ঘটে।