অসীম চট্টোপাধ্যায়, আসানসোল : ‘‘মিঠুন? কোবরা ম্যান! রাজনীতিতে এখনও আছেন নাকি?’’ কটাক্ষ করলেন আসানসোল লোকসভা উপনির্বাচনের তৃণমূল কংগ্রেসের (Trinamool Congress) তারকা প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিনহা। রবিবার প্রচারে রবীন্দ্রভবনে এসেছিলেন। তাঁর প্রতিপক্ষ বিজেপি প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পালের হয়ে মিঠুন চক্রবর্তীর ভিডিওবার্তা নিয়ে প্রশ্ন করতেই শত্রুঘ্নর কটাক্ষ। আদতে মিঠুনকে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব বলে গুরুত্বই দিলেন না তিনি।
শত্রুঘ্ন সিনহার প্রচারে অন্য রং আনছে তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress)। চাসনালা কোলিয়ারি দুর্ঘটনার সঙ্গে ‘কালাপাত্থর’ ছবির অদ্ভুত সাদৃশ্য আছে। অমিতাভ বচ্চন, শশী কাপুর, শত্রুঘ্ন সিনহা অভিনীত সেই ছবিটি নতুন করে প্রদর্শনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেলা নেতৃত্ব। খনিকর্মী মঙ্গল সিংয়ের সঙ্গে আসানসোল-রানিগঞ্জ কয়লাখনি এলাকার লাখো খনিশ্রমিক জীবনের মিল খুঁজে পাবেন। কয়লাকুঠির এক প্রতিবাদী শ্রমিকের ভূমিকায় অনবদ্য অভিনয় করেছিলেন শত্রুঘ্ন। ছবিতে ছিল খনির মধ্যে জল ঢুকে পড়ার এক ভয়াবহ দৃশ্য। মঙ্গল সিং-রূপী শত্রুঘ্ন জলবন্দি খনিশ্রমিকদের উদ্ধার করতে পারলেও নিজে তলিয়ে যান জলে। যশ চোপড়া পরিচালিত ছবিটিকে আজও আসানসোল-রানিগঞ্জ খনি এলাকার লক্ষ লক্ষ খনিশ্রমিক পরিবার নিজেদের জীবনেরই এক জীবন্ত দলিল বলে মনে করেন। আসানসোল-রানিগঞ্জে রয়েছে ১০৭টিরও বেশি কয়লাখনি। লক্ষাধিক কর্মী কাজ করেন। তৃণমূল নেতৃত্ব মনে করেন, ‘কালাপাত্থর’ সিনেমায় শত্রুঘ্ন যে চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন, তার বাস্তবতা আজও প্রাসঙ্গিক। আজও খনিগহ্বরে প্রাণ হাতে করে কাজ করতে যেতে হয় খনিকর্মীদের। তাই ‘কালাপাত্থর’ ছবিটি তাঁদের দেখার সুযোগ করে দেওয়া হলে শত্রুঘ্নকে তাঁদেরই একজন বলে মনে করতে পারবেন এলাকার অসংখ্য সাধারণ খনিশ্রমিক পরিবার। হয়তো সেই আবেগ থেকেই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিখ্যাত কবিতাটি প্রতিটি জনসভায় বলে বাড়তি মনের জোর পাচ্ছেন প্রবীণ এই অভিনেতা, ‘মোর নাম এই বলে খ্যাত হোক, আমি তোমাদেরই লোক’।