প্রতিবেদন : লোকসভা নির্বাচনের মুখেই মোদিরাজ্যের সমুদ্র উপকূলে ধরা পড়ল বিশাল অঙ্কের মাদকদ্রব্য। উপমহাদেশে একইসঙ্গে এত মাদক উদ্ধারের ঘটনা এই প্রথম। এই হল মোদিরাজ্য। বছরের পর বছর ধরে গুজরাট মাদকদ্রব্য পাচারের সেফ করিডর হয়ে উঠছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তবুও হুঁশ নেই পুলিশ-প্রশাসনের। সেই অভিযোগেরই আবার বড় প্রমাণ মিলল। ভারতীয় উপমহাদেশে সবচেয়ে বড় মাদকদ্রব্য উদ্ধারের ঘটনা ঘটল গুজরাত উপকূলে।
আরও পড়ুন-বিজেপিকে হুঁশিয়ারি মমতাবালার, মতুয়ারা নাগরিকত্বের বিরোধী
মঙ্গলবার গভীর রাতে পোরবন্দরের কাছে একটি বিদেশি জাহাজ থেকে প্রায় ৩,৩০০ কেজি মাদকদ্রব্য উদ্ধার করা হয়েছে ভারতীয় নৌবাহিনী, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ ব্যুরো এবং গুজরাত অ্যান্টি-টেররিজম স্কোয়াডের যৌথ অভিযানে। আটক করা হয়েছে ৫ জনকে। সকলেই পাকিস্তানি নাগরিক। তাদের তুলে দেওয়া হয় গুজরাট পুলিশের হাতে। প্রতিরক্ষামন্ত্রক জানিয়েছে, সাম্প্রতিককালে এটাই সবচেয়ে বেশি মাদক উদ্ধারে ঘটনা। বাজেয়াপ্ত মাদকদ্রব্যের মধ্যে রয়েছে ৩,০৮৯ কেজি চরস, ১৫৮ কেজি মেথামফেটামিন এবং ২৫ কেজি মরফিন। উদ্ধার হওয়া শুধু চরসেরই বাজারমূল্য প্রায় ২২ হাজার কোটি টাকা। প্রশ্ন উঠেছে, সামান্য পরিমাণ মাদকদ্রব্যকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন সেলিব্রিটি বা তাঁদের নিকটজনকে যখন কথায় কথায় হেনস্থা করে এনসিবি, তখন বারবার বিশাল অঙ্কের মাদকদ্রব্য এভাবে পাচার হচ্ছে কীভাবে আরব সাগরের তীরে গুজরাত, মহারাষ্ট্রে? তাঁছাড়া বন্দরগুলো প্রায় সবই এখন মোদীঘনিষ্ঠ আদানিদের নিয়ন্ত্রণে। গেরুয়া সরকার কি সেই কারণেই চোখ বুজে থাকে? প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ মনে করছে, এই বিশাল পরিমাণ মাদকদ্রব্য দক্ষিণের রাজ্যে পাচার করা হচ্ছিল। এক পদস্থ অফিসার জানিয়েছেন, ৫ বিদেশি নাগরিককে গ্রেফতার করা হয়েছে। কারও কাছেই কোনও পরিচয়পত্র পাওয়া যায়নি। জানা গিয়েছে, ভারতীয় নৌবাহিনী এবং এনসিবির যৌথ অভিযানে সাহায্য করে একটি যুদ্ধজাহাজও। নজরদারি চালায় নৌবাহিনীরই একটি বিমান।