প্রতিবেদন : গাফিলতি এতটাই যে জীর্ণ-শীর্ণ স্কুলবাড়িটিকে সারানোর প্রয়োজন মনে করেনি প্রশাসন ও স্কুল কর্তৃপক্ষ। আর তার মাশুল দিতে হয়েছে নিষ্পাপ ৭টি প্রাণকে। রাজস্থানে স্কুলের ছাদ ভেঙে মৃত শিশুদের শেষ সম্মানটুকুও দিতে ব্যর্থ হল সেই রাজ্যের প্রশাসন। হতভাগ্য শিশুগুলোর শেষকৃত্যের সময় কাঠও জুটল না! ভ্যাটে আবর্জনা পোড়ানোর মতো টায়ার জ্বালিয়ে অন্তিম সংস্কার করা হল তাদের। বিজেপির এই চূড়ান্ত অবহেলায় নিন্দার ঝড় উঠেছে বিভিন্ন মহলে। এদের মধ্যে ছয় শিশুর অন্তিম সংস্কার পিপলোদি গ্রামে হয়। আরেক ছাত্রীর দেহ নিয়ে যাওয়া হয় চাঁদপুরায় তাঁরা নিজের গ্রামে অন্তিম সংস্কারের জন্য। গ্রামে দেহ পৌঁছতেই শোকে গোটা গ্রাম ভেঙে পড়ে। আকস্মিক দুর্ঘটনায় এভাবে ১২ বছরের পড়ুয়ার চলে যাওয়ায় বিস্ময় আর ক্ষোভ ছড়ায় গ্রামে। বিক্ষোভ ঠেকাতে মোতায়েন করা হয় পুলিশ বাহিনী। কিন্তু যে অন্তিম সংস্কার হওয়ার জন্য দেহ আনা হয়, সেই সংস্কারের ব্যবস্থাই করেনি প্রশাসন!
আরও পড়ুন-মা ও শিশুপুত্রকেও রেহাই দেয়নি বিজেপি!
রাজস্থানে বিপজ্জনক স্কুল বাড়ির ছাদ ভেঙে ৩২ জন পড়ুয়া আহত হয়। এদের মধ্যে সাতজনের মৃত্যু হয়। শনিবার ময়নাতদন্ত সেরে পরিবারের হাতে দেহ তুলে দেওয়া হয়। এই সাত জন মৃত শিশুর মধ্যে একজনের দেহ নিয়ে যাওয়া হয় চাঁদপুরায় নিজের গ্রামে।