মুম্বইয়ের (Mumbai) ওরলিতে বিএমডাব্লিউ গাড়ি স্কুটারে ধাক্কা দেয়। স্কুটার থেকে পড়ে যান কাবেরী নাখওয়া। কিন্তু গাড়ি থামেনি এবং সেই অবস্থাতে বিএমডাব্লিউ (BMW) গাড়ি কাবেরীকে হিঁচড়ে নিয়ে যায় অনেকটা। ফলে কাবেরীর মৃত্যু হয়। স্কুটার চালাচ্ছিলেন তাঁর স্বামী প্রদীপ। তিনিও যথেষ্ট পরিমাণ আহত হয়েছেন। এই ঘটনায় অভিযুক্ত, মিহির শাহকে ঘটনার তিনদিন পর গ্রেফতার করল মহারাষ্ট্র পুলিশ। মূল অভিযুক্ত মিহিরকে মুম্বইয়ের কাছে একটি জায়গা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মহারাষ্ট্রের শিন্ডে ক্যাম্পের শিবসেনা নেতা রাজেশ শাহের ছেলে মিহির। দুর্ঘটনার সময় বিএমডাব্লিউ গাড়িটি চালাচ্ছিলেন মিহির।
আরও পড়ুন-সিভিক ভলান্টিয়ারের গণপিটুনির ঘটনায় সবংয়ে তিন বিজেপি কর্মী আটক
পুলিশের তরফে খবর, ঘটনার সময় মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন মিহির। দুর্ঘটনার পর থেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন মিহির। ৭২ ঘণ্টা খোঁজ পাওয়া যায় নি তাঁর বোন ও মায়ের। গাড়ির চালক ও শিবসেনার শিন্ডে শিবিরের নেতা রাজেশ শাহকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সোমবার জামিন পান রাজেশ। স্বাভাবিকভাবেই মিহিরের গ্রেফতারি নিয়ে মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে পারদ চড়ছিল। সামনেই মহারাষ্ট্রে বিধানসভা ভোট আর তার মধ্যে এমন এক ঘটনায় রীতিমত অস্বস্তিতে শাসক শিবির। কয়েকদিন জলঘোলা করেই ‘বিএমডাব্লিউ হিট অ্যান্ড রান’ মামলায় অবশেষে গ্রেফতার হলেন মূল অভিযুক্ত মিহির। ভারতীয় ন্যায় সংহিতার আওতায় বেশ কয়েকটি ধারায় মিহিরের বিরুদ্ধে রুজু হয়েছে মামলা। মোটর ভেহিক্যাল অ্যাক্টের ধারাতেও তাঁর বিরুদ্ধে মামলা আছে।
উল্লেখ্য, ঘটনার পরই রাজেশ ছেলেকে ফোন করে পালিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। দুর্ঘটনার দায় চালকের ঘাড়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন রাজেশ শাহ। তবে ঘটনার পর রাজেশ শাহের জামিন হলেও, তাঁর গাড়ির চালকের জামিন হয়নি। ঘটনার দিন মুম্বইয়ের একটি বারে ২০০০ টাকা খরচ করেছিলেন মিহির। সেখান থেকে বেরিয়ে গাড়িতে ফিরছিলেন মিহির। চালককে জোর করে সরিয়ে গাড়ি নিজে চালানোর সিদ্ধান্ত নেন তিনি। এরপরেই এই দুর্ঘটনা।