প্রতিবেদন : কন কন ঠাণ্ডায় কাঁপছে পাহাড়। ২০২২ সালের পর ফের তুষারপাতও হয়েছে শৈলশহরে। তারপর থেকে আরও জাঁকিয়ে পড়েছে ঠাণ্ডা। পাহাড়ের বাসিন্দা, পর্যটকেরাই নয়, কাহিল বাঘও! আর তাই সেখানকার পশুদের শীত লাঘব করতে বৈদ্যুতিক হিটারের ব্যবস্থা করল পদ্মজা নাইডু হিমালয়ান জুলজিকাল পার্ক কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি রাত্রিকালীন আস্তানায় হাওয়া ঢোকা ঠেকাতে এবং আস্তানা গরম করতে সেখানে আরও বেশি করে কাঠ বিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। একইভাবে তোপকেডারা প্রজনন কেন্দ্রেও কোয়ারান্টিনে থাকা রেড পান্ডা সহ অন্য পশুর জন্য হিটার সহ অন্যান্য ব্যবস্থাও করা হয়েছে বলে মঙ্গলবার পদ্মজা নাইডু হিমালয়ান জুলজিকাল পার্কের ডিরেক্টর বাসবরাজ হোলেইচি জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন-শ্রোতাদের শাস্ত্রীয় সঙ্গীতে ঋদ্ধ করতে শুরু হচ্ছে বিশেষ কোর্স
দার্জিলিং চিড়িয়াখানায় রয়েল বেঙ্গল টাইগার, রেড পান্ডা, সাদা বাঘ, সোনালি শেয়াল, তুষারচিতা থেকে শুরু করে দেশ-বিদেশের প্রচুর পশুপাখি রয়েছে। শীতে মানুষের মতো পশুপাখিরও সমস্যা হয়। বিশেষ করে সব পশু, পাখি শীতের মরশুমে দার্জিলিংয়ের প্রবল ঠান্ডায় কাবু হয়ে পড়ে। এই জন্য চিড়িয়াখানায় বৈদ্যুতিন হিটারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ঠান্ডা হাওয়া থেকে বাঁচাতে প্রত্যেকটি পশুপাখির রাত্রিকালীন আস্তানা কাঠের আস্তরণে মুড়ে দেওয়া হয়েছে। এদিন চিড়িয়াখানার ডিরেক্টর জানিয়েছেন, নেদারল্যান্ডের রটারডাম চিড়িয়াখানা থেকে আসা দুটি রেড পান্ডা বর্তমানে সুস্থ রয়েছে। দুটিকেই তোপকেডারা প্রজননকেন্দ্রে কোয়ারান্টিনে রাখা হয়েছে। তবে ঠাণ্ডা যতই হোক না কেন, পর্যটকদের ভিড় রয়েছে পাহাড়ে। চিড়িয়াখানার আয়ও বাড়ছে বলছে পরিসংখ্যান।