প্রতিবেদন : রাজনৈতিক দেউলিয়াপনার এমন নিকৃষ্ট উদাহরণ আর কী হতে পারে? রাজনৈতিক ফায়দা লুঠতে গিয়ে আর কতটা নিচে নামতে পারে বিজেপি (BJP)? শেষ পর্যন্ত প্রাথমিকে চাকরি প্রার্থীদের ধর্নামঞ্চে প্ল্যাকার্ড হাতে তারা বসিয়ে দিল এক মাংস বিক্রেতাকে। বিজেপি নেতাদের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের মিষ্টি খাওয়াতে গিয়ে নিজেই প্ল্যাকার্ড হাতে তাঁদের মাঝে বসে পড়েছেন ওই মাংস বিক্রেতা। পরে অকপটে স্বীকার করেছেন, তিনি আদৌ কোনওদিন টেট পরীক্ষার্থী দেননি। নাম সুুদাম গিরি। থাকেন হাওড়া শিবপুরের ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের শরৎ চ্যাটার্জি রোডে। বাড়ির কাছেই তাঁর মুরগির মাংসের দোকান। এটাই তাঁর রুজি রোজগার। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে সুদামের প্ল্যাকার্ড হাতে ধরনামঞ্চে বসার ছবি। আন্দোলনকারীদের মধ্যেও বিষয়টি নিয়ে গভীর অস্বস্তি দেখা দিয়েছে। দেখা দিয়েছে গভীর ক্ষোভ। বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে বিজেপির অন্দরমহলেও। প্রশ্ন উঠেছে, কার বুদ্ধিতে ওই ব্যক্তি ধরনামঞ্চে প্ল্যাকার্ড হাতে বসে পড়লেন?
এই ঘটনা প্রমাণ করছে চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলন চলুক তা চাইছে বিজেপি (BJP)। রাজ্য সরকার যখন সমস্যা সমাধানে যুক্তিপূর্ণ পদক্ষেপ করছে, তখন মঞ্চে নিজেদের পার্টির লোক ঢুকিয়ে আন্দোলনকারীদের থেকে রাশ ছিনিয়ে নিতে চাইছে বিজেপি। আন্দোলনকারীরা চাকরি পান এটা মোটেই চাইছে না বিজেপির ভুঁইফোড়, দলবদলু, পার্টটাইম নেতারা। তারা বসে থাকলেই তাদের রাজনৈতিক ফয়দা। তাই রাজ্য সরকারের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে যখন একের পর এক চাকরিপ্রার্থী আলোচনায় বসছেন, সুষ্ঠু সমাধানের পথে যাচ্ছেন, তখন শকুনের রাজনীতি করা বিজেপি চোখে সরষে ফুল দেখছে। এবং মাংস বিক্রেতাকেও মঞ্চে পাঠিয়ে দিচ্ছে। এরপর বিজেপির প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়া উচিত। আন্দোলনকারীদেরও বন্ধু সেজে শত্রুদেরও চিনে নেওয়া উচিত।
বিজেপির স্থানীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে বিজয়া দশমীর দিন মেয়ো রোডে গিয়েছিলেন সুদাম। আন্দোলনে বসে পড়েন। রবিবার সুদাম জানান, তিনি কোনওদিন টেট পরীক্ষা দেননি। বিজেপি নেতাদের নির্দেশেই মেয়ো রোডে যান। ধরনায় অংশ নেন। তবে কে তাঁর ছবি তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় দিয়েছে তা তিনি জানেন না। কেন আন্দোলন তারও উত্তর দিতে পারেনি সুদাম।
আরও পড়ুন-অয়ন খুনের সূত্র মোবাইলে