সংবাদদাতা, হাওড়া : একজন ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকও যেন বাংলা শস্যবিমা প্রকল্পের আওতার বাইরে না থাকেন। সেই ব্যাপারে জেলা প্রশাসনকে কড়া নজরদারি চালানোর নির্দেশ দিলেন কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে ঘূর্ণিঝড় ডানার পর গোটা পরিস্থিতি নিয়ে উলুবেড়িয়ার ১ নম্বর বিডিও অফিসের পঞ্চায়েত প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে এক উচ্চপর্যায়ের পর্যালোচনা বৈঠকে বসেছিলেন কৃষিমন্ত্রী। সোমবারের ওই বৈঠক থেকেই জেলা প্রশাসনকে ওই নির্দেশ দেন মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন-জমির ফসল কেটে দিল বিএসএফ জওয়ানেরা প্রতিবাদে সরব কৃষকেরা
বৈঠকে কৃষিমন্ত্রী বলেন, একজন ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক যেন বঞ্চিত না হন। তার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সবজি-সহ আরও যেসব চাষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেগুলি বিস্তারিত হটিকালচারকে জোগাড় করতে বলা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে তার তালিকা পেলেই সেই সমস্ত কৃষকদেরও ক্ষতিপূরণ দেবে রাজ্য সরকার। সব মিলিয়ে রাজ্য সরকার যে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের পাশেই রয়েছেন সেই বার্তাই দেন কৃষিমন্ত্রী। বৈঠকে মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় ছাড়াও ছিলেন জনস্বাস্থ্য কারিগরি ও পূর্তমন্ত্রী পুলক রায়, বিধায়ক সুকান্ত পাল, ডাঃ নির্মল মাজি, বিদেশ বসু, জেলাশাসক পি দিপাপ প্রিয়া, অতিরিক্ত জেলাশাসক, বিডিও, হাওড়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাবেরী দাস, সহ-সভাধিপতি অজয় ভট্টাচার্য, জেলা পরিষদের কৃষি কর্মাধ্যক্ষ, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ও প্রশাসনিক কর্তারা। এছাড়াও ছিলেন কৃষি দফতরের প্রধান সচিব ওঙ্কার সিং মীনা-সহ দফতরের আধিকারিকরা। সাম্প্রতিক ‘ডানা’ ঘূর্ণিঝড়ের পরিপ্রেক্ষিতে এবং তার কিছুদিন আগে ডিভিসির ছাড়া জলে হাওড়ার আমতা, উদয়নারায়ণপুর, বাগনান, উলুবেড়িয়ার বিস্তীর্ণ এলাকার কৃষিজমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রচুর ফসল নষ্ট হয়েছে। কৃষকরাও ক্ষতির মুখে পড়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের প্রত্যেককে বাংলা শস্যবিমা প্রকল্পের আওতায় এনে তাঁদের ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করেছে রাজ্য সরকার। এই প্রকল্পে কৃষকদের নাম নথিভুক্তকরণের জন্য ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত দিন ধার্য হয়েছে। এদিনের বৈঠকে এই প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় হাওড়ার ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিটি বিধানসভাভিত্তিক পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে এই প্রকল্পের খোঁজ নেন। মন্ত্রী পুলক রায় জানান, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের নামের তালিকা তৈরি করে রাজ্য কৃষিবিমা প্রকল্পে তাঁদের দ্রুত ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। একজন ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকও যেন বাদ না পড়েন তা সুনিশ্চিত করতে জেলা প্রশাসনকে বলা হয়েছে।