ভুয়ো জাতি শংসাপত্র (Fake caste certificate) তৈরির চক্র ভাঙতে তৎপর রাজ্য। অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ দফতরের কাছে যত অভিযোগ জমা করেছে সব অভিযোগেরই দ্রুত তদন্ত শুরু করে অপরাধচক্রে যুক্তদের শাস্তির পথে রাজ্য। সেই তদন্তে এবার শোকজ ২ আধিকারিককে। সেই সঙ্গে একাধিক জেলার মহকুমা অধিকারিকদের তথ্য যাচাইয়ের নির্দেশ দফতরের।
কখনও ডাক্তারি, কখনও পুলিশে চাকরি, কখনও বা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি পেতে ভুয়ো জাতি শংসাপত্র (Fake caste certificate) ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। তারই তদন্তে প্রশাসনের অনুমান ছিল এর পিছনে কোনও বড় চক্র রয়েছে। যার সঙ্গে বিভিন্ন দফতরের আধিকারিকদের যুক্ত থাকারও প্রবল সম্ভাবনার কথা উঠে এসেছিল। প্রাথমিকভাবে দুই জেলার আধিকারিকদের এই তদন্তে চিহ্নিত করা সম্ভব হয়েছে।
আরও পড়ুন-এবার আমেরিকায় নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় বড় পরিবর্তন! আদেশনামায় স্বাক্ষর ট্রাম্পের
জানা গিয়েছে, খড়গপুর ও ব্যারাকপুরের ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার দুই আধিকারিক সরাসরি চক্রের সঙ্গে যুক্ত। সেই আধিকারিককে শোকজ করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে কী শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে, তা নিয়েও শুরু হয়েছে পরিকল্পনা।
অন্যদিকে, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়ের করা ও ভুয়ো জাতি শংসাপত্রের অভিযোগে পদক্ষেপ অনগ্রসর শ্রেণী কল্যাণ দফতরের। অভিযুক্তরা যে মহকুমার বাসিন্দা, সেইসব এসডিওদের শংসাপত্র যাচাইয়ের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এবং দ্রুত সেই রিপোর্ট ডাক্তারকে পেশ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে প্রশাসনিক স্তরে কোনও রকম দেরি মানা হবে না বলেও স্পষ্ট করে দিয়েছে অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ দফতর।