প্রতিবেদন :পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য তৈরি শ্রমশ্রী অ্যাপের যাত্রা শুরু হতেই মিলল বিপুল সাড়া। দু’দিনেই তিন হাজারেরও বেশি আবেদন জমা পড়েছে। সোমবার বিকেল থেকে অ্যাপ চালুর পরেই বিপুল সংখ্যক শ্রমিক নথিভুক্তির জন্য আবেদন করেন। মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত তিন হাজার ছাড়িয়েছে আবেদন। দীর্ঘদিন ধরে ভিন রাজ্যে কাজ করা বাংলার অসংখ্য শ্রমিক কর্মসংস্থানের অভাবে রাজ্যে ফিরেছেন। তাঁদের আর্থিক সুরাহার লক্ষ্যেই এই প্রকল্প চালু করেছে নবান্ন। শ্রমিকদের দ্রুত নথিভুক্ত করতে অ্যাপ-ভিত্তিক প্রক্রিয়া শুরু করা হয়। শ্রমিকদের এই উত্সাহ দেখে ইতিমধ্যেই বিষয়টি নিয়ে রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম মুখ্যমন্ত্রীকে রিপোর্ট পাঠিয়েছেন।
আরও পড়ুন-পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়ার চক্রান্ত ব্যর্থ হল : কল্যাণ
শ্রমশ্রী প্রকল্পের কাজ যাতে সম্পূর্ণ স্বচ্ছ হয় সেদিকেও কঠোর দৃষ্টি রাখছে রাজ্য। শ্রম দফতরে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এই প্রকল্পের আবেদন বাছাই ও সুবিধাভোগীদের চিহ্নিত করার বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। রাজ্যে ফেরার পর প্রকল্পে আবেদন করলেই এককালীন ৫০০০ টাকা পাবেন পরিযায়ী শ্রমিকরা। এরপর এক বছর পর্যন্ত বা বিকল্প কাজের সন্ধান না পাওয়া পর্যন্ত অর্থ সাহায্য চালিয়ে যাওয়া হবে। ওই সময় শ্রমিকরা মাসে পাঁচ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা পাবেন। এছাড়াও সন্তানদের পড়াশোনার খরচ, বিশেষ করে স্কুলপড়ুয়া ছেলে-মেয়েদের জন্য নির্দিষ্ট বরাদ্দ রাখা হয়েছে। তবে সব শ্রমিক এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন না। নির্দিষ্ট নিয়ম ও শর্ত মেনে যারা আবেদন করবে, তাদের নথি যাচাই করে চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছে শ্রম দফতর। বৈঠকে জেলা পর্যায়ে দ্রুত নথি সংগ্রহ ও যাচাইয়ের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
প্রকল্পের সূচনার মাত্র দু’দিনেই যে বিপুল সাড়া মিলেছে, তা দেখে প্রশাসন মনে করছে অভিবাসী শ্রমিকদের কাছে এই উদ্যোগ আস্থার জায়গা তৈরি করছে। দফতরের এক আধিকারিকের কথায়, এই পরিস্থিতিতে দুয়ারে সরকার-এর মতো প্রকল্প শ্রমজীবী মানুষকে স্বস্তি দেবে। অর্থ দফতর জানিয়েছে, সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকেই যোগ্য শ্রমিকদের হাতে ভাতা পৌঁছে দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। পুজোর আগেই প্রকল্পের প্রাথমিক পর্ব শেষ করার লক্ষ্য স্থির করেছে নবান্ন।