সংবাদদাতা, হুগলি : শ্রাবণ মাস শুরু হয়ে গিয়েছে৷ শিব ভক্তদের জন্য এই মাস বড়ই পবিত্র এবং গুরুত্বপূর্ণ। তারকেশ্বর শিবতীর্থ ধামে আসন্ন শ্রাবণী মেলা উপলক্ষে রাজ্য প্রশাসন ও জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে জেলাশাসকের অফিসে বৈঠক হয়। বৈঠক হয় হরিপাল বিশ্বনাথ সেবা সমিতিতেও।
বৃহস্পতিবারের বৈঠকে বৈদ্যবাটি, নিমাই তীর্থ-সহ সমস্ত ঘাট থেকে পুণ্যার্থীরা বাবার মাথায় সুষ্ঠুভাবে যাতে জল ঢালতে পারেন তার জন্য সমস্তরকম পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। তারকেশ্বর-বৈদ্যবাটি রাস্তা সংস্কার করা হবে। গঙ্গার ঘাটে জল তোলার সময় কোনওরূপ দুর্ঘটনা না হয়, তার জন্য সেচ দফতরের মাধ্যমে নজরদারি চালানো হবে এবং জাল দিয়ে ঘিরে দেওয়া এবং এলাকাকে পরিষ্কার করা হবে।
আরও পড়ুন-উন্নত বাস পরিষেবায় পিপিপি মডেল
বৈঠক থেকে আরপিএফ এবং প্রশাসনকে জানানো হয়েছে প্রতিটি রেলগেট, জেটিতে নজরদারি রাখা এবং যাত্রীদের শেওড়াফুলি ও বৈদ্যবাটি স্টেশনে নামার জন্য নির্দেশ দেওয়া। পুণ্যার্থীদের সুষ্ঠুভাবে ঘাটের দিকে পৌঁছে দেওয়া। মেলায় কোনওরূপ প্লাস্টিকের দ্রব্য ব্যবহার যাতে না হয় কাগজ এবং শালপাতার ব্যবহার করার জন্য স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। খাবার খাওয়ার পর সেই সমস্ত দ্রব্য যাতে নির্দিষ্ট জায়গায় ফেলা হয় তার নির্দেশও জারি করা হয়েছে। প্রতিটি পঞ্চায়েত ও মিউনিসিপ্যালিটিকে বাধ্যতামূলকভাবে ক্যাম্প করতে হবে। অ্যাম্বুল্যান্স এবং রাস্তায় পর্যাপ্ত পরিমাণে আলো লাগাতে হবে। এর জন্য ক্যাম্পের মাধ্যমে নজরদারি রাখা হবে জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে। আধঘণ্টা অন্তর শনিবার ভোর থেকে রবিবার দুপুর পর্যন্ত ৫০টি বাস সাঁতরাগাছি, বর্ধমান-সহ বিভিন্ন রুটে চালানো হবে। প্রয়োজনে বাস ধর্মতলা পর্যন্ত যাবে। রেল দফতরের ডিআরএমকে জানানো হয়েছে, কুড়ি মিনিট অন্তর ট্রেন চালানোর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করতে। বৃহস্পতিবারের এই বৈঠকে ও এলাকা পরিদর্শনে উপস্থিত ছিলেন পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী, মন্ত্রী বেচারাম মান্না, জেলাশাসক ও পুলিশ সুপার-সহ করবী মান্না, রামেন্দু সিংহরায় প্রমুখ।