প্রতিবেদন : স্কোরবোর্ডে ২২৩ রান তুলেও হারতে হবে, ভাবতে পারেননি। তাই ম্যাচ শেষে শ্রেয়স আইয়ারের শরীরী ভাষায় অবিশ্বাসের ছাপ স্পষ্ট। কেকেআর অধিনায়ক বলে গেলেন, ‘‘এই হার আমার কাছে তেতো বড়ি গেলার মতোই অনুভূতি। বিশ্বাসই করতে পারছি না ম্যাচটা হেরে গেলাম।’’
যাঁর বিস্ফোরক ব্যাটিং নাইটদের মুখের গ্রাস কেড়ে নিয়েছে, সেই জস বাটলার আবার বলছেন, ‘‘নিজের উপর বিশ্বাস ছিল। শুরুতে ঠিকঠাক ব্যাটে-বলে হচ্ছিল না। কিন্তু আস্থা হারাইনি। আর শেষ পর্যন্ত এই বিশ্বাস দলকে জেতাতে সাহায্য করেছে।’’ ম্যাচের নায়ক আরও যোগ করেছেন, ‘‘যখন পরপর উইকেট পড়ছিল। তখনও মাথা ঠান্ডা রেখেছিলাম। লক্ষ্য ছিল মাচটাকে শেষ ওভার পর্যন্ত টেনে নিয়ে যাওয়া। ধোনি ও বিরাট কোহলিকে দেখেছি এভাবে রান তাড়া করে দলকে জেতাতে।’’
আরও পড়ুন-হালখাতায় শূন্য পাবে বিজেপি : তৃণমূলনেত্রী
এদিকে শ্রেয়স বলছেন, ‘‘বাটলার অবিশ্বাস্য ব্যাট করল। এভাবে হারের কোনও ব্যাখ্যা আমার কাছে নেই। তবে ভেঙে পড়ার কোনও কারণ নেই। মাথা উঁচু রেখে সামনের ম্যাচগুলোর জন্য তৈরি হতে হবে।’’ কেকেআর নেতার সংযোজন, ‘‘সুনীল নারিন আমাদের দলের সম্পদ। ব্যাটে-বলে পারফর্ম করে প্রতিটি ম্যাচে ও সেটা প্রমাণ করে চলেছে। ওর মতো চরিত্র আমাদের দলে রয়েছে বলে অধিনায়ক হিসেবে আমি খুশি।’’
শেষ ওভার কেন বরুণ চক্রবর্তীকে দিয়েছিলেন, তার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে শ্রেয়স বলেন, ‘‘বলের গতি কমিয়ে বাটলারকে চাপে রাখতে চেয়েছিলাম। তাই বরুণের হাতে বল তুলে দিয়েছিলাম। তবে এই ট্রিক কাজে এল না।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘শেষ ২-৩ দিনে দুটো কঠিন ম্যাচ খেললাম। পরের ম্যাচের আগে কিছুটা সময় হাতে পাচ্ছি। শারীরিক ও মানসিক ভাবে নিজেদের তরতাজা করে তোলার পাশাপাশি এই ম্যাচে ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোই লক্ষ্য।’’