প্রতিবেদন : শেষ পর্যন্ত ঝোলা থেকে বেড়াল বেরিয়েই পড়ল! আসলে হেরে যাওয়ার পরও যে নন্দীগ্রামে লোডশেডিং করে জিতেছিল শুভেন্দু বৃহস্পতিবার নিজেই তা প্রকারান্তরে স্বীকার করে নিল। এদিন শুভেন্দু বলে, ২০১৮ সালে জঙ্গলমহলে ভোটের ফলাফল উল্টে দিয়েছিলাম। এরপরই তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক ও মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, শুভেন্দু বলতে ভুলে গেছেন তমলুক ও কাঁথিতেও ওর বাবা-ভাই হেরে গিয়েছিলেন। উনি ফলাফল বদলে দিয়েছেন৷ কুণালের সংযোজন, যিনি বলেন ভোটের ফলাফল বদলে দিতে পারি, তিনি নন্দীগ্রামেও ফলাফল বদলে দিয়েছিলেন। এটাই অবচেতন মন থেকে বেরিয়ে গিয়েছে। এরপর আরএসি বিরোধী দলনেতাকে তোপ দেগে বলেন, শুধুমাত্র সুরক্ষা কবচের জন্য, আদালত ও এজেন্সির রক্ষাকবচ নিয়ে ধরাকে সরা জ্ঞান করছেন৷ তিনি ধরে নিয়েছেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা যতক্ষণ আছে কেউ কিছু বলতে-করতে পারবে না৷ একদিন সময় আসবে যখন এর বদল হবে।
আরও পড়ুন-শীতের ইডেনে মানুষের ঢল
নন্দীগ্রামের সভায় যেভাবে বিরোধী দলনেতা নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে প্ররোচনামূলক মন্তব্য করেছে তা অত্যন্ত নিন্দনীয়, এর জন্য তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন— বক্তব্য কুণালের। তাঁর কথায়, আমাদের রক্ষাকবচ হল বিভিন্ন প্রকল্প। রূপশ্রী থেকে কন্যাশ্রী, স্বাস্থ্যসাথী থেকে স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড। আর বিজেপির রক্ষাকবচ হচ্ছে সিবিআই-ইডির গ্রেফতার না করা।
আরও পড়ুন-তৃণমূলের বৈঠকে বোমাবাজি, ধৃত ১২
জি-২০ সামিটে রাজ্যে প্রচারে মুখ্যমন্ত্রীর ছবি ব্যবহার নিয়ে বিরোধী দলনেতার কুমন্তব্যের জবাবে কুণালের কটাক্ষ, বিরোধী দলনেতা অতৃপ্ত আত্মার মতো আচরণ করছেন। দিদির দূতেরা মানুষের জীবন বাঁচাতে যাচ্ছেন, আর বিজেপির যমদূতেরা জীবনটা ধ্বংস করতে যাচ্ছেন। শুভেন্দু বরং আগে উত্তর দিন, তৃণমূলে থাকাকালীন ক’টা পদে ছিলেন! আসানসোলে কম্বল দিতে গিয়ে যারা মারা গেল সেই পরিবারগুলোর সামনে গিয়ে দাঁড়ানোর সাহস হল না কেন? মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদার চ্যলেঞ্জ গ্রহণ করে কেন তাঁর সামনে যাওয়ার সাহস দেখালেন না? সিবিআই-এর এফআইআরে যার নাম আছে, সিবিআইয়ের মতেও যে তোলাবাজ, সেই শুভেন্দু অধিকারী কেন এখনও গ্রেপ্তার হল না?