হারারে, ১৩ জুলাই : একটা খোঁচাই যথেষ্ট ছিল শুভমনদের জন্য। প্রথম ম্যাচের হার। তারপর জিম্বাবোয়েকে আর দাঁড়াতে দেয়নি তরুণ ভারতীয় দল। দ্বিতীয় ম্যাচ থেকেই পরপর জয়। শনিবার আরও একটা জয়ের সঙ্গে সিরিজের ফয়সালাও হয়ে গেল। এক ম্যাচ বাকি রেখে ৩-১-এ এগিয়ে গেল ভারত। সেই সঙ্গে টি ২০ সিরিজও দখলে এসে গিয়েছে ভারতের।
আরও পড়ুন-জম্মু-কাশ্মীরের ডোডায় ২০০ ফুট গভীর খাদে পড়ল বাস, মৃত ২
ভারত জিতেছে ১০ উইকেটে। ব্যাটাররা, আরও পরিষ্কার করে বললে ওপেনাররা জিম্বাবোয়ে বোলারদের উপর স্টিম রোলার চাপিয়ে দিয়েছেন। যশস্বী জয়সোয়াল ৫৩ বলে ৯৩ নট আউট থেকে ম্যাচের সেরা হলেন। টি-২০ বিশ্বকাপে কোনও ম্যাচে খেলার সুযোগ পাননি তিনি। কিন্তু হারারেতে ব্যাট হাতে নামার পর থেকে তাঁকে দেখে মনে হয়েছে ছন্দেই রয়েছেন।
আরেক ওপেনার শুভমন গিল নট আউট থেকে গেলেন ৫৮ রানে। তিনি খেলেছেন ৩৯ বল। ভারতের অধিনায়ক হিসাবে এটাই শুভমনের প্রথম সিরিজ। তিনি যশস্বীকে পাশে নিয়ে শনিবারই সিরিজ জয় নিশ্চিত করে ফেলেন। রবিবার সিরিজের শেষ ম্যাচ। এটা অবশ্য নিয়মরক্ষার ম্যাচ। তবে ভারতীয় শিবিরের লক্ষ্য শেষ ম্যাচও জিতে দেশে ফেরা। শুভমনও সেটাই বলেছেন।
আরও পড়ুন-নাইটদের মেন্টর হলেন ঝুলন, মেয়েদের ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগ
এদিন আবেশ খানকে বসিয়ে দলে নওয়া হয়েছিল তুষার দেশপান্ডেকে। অভিষেক ম্যাচে তিনি ৩০ রানে একটি উইকেট নিয়েছেন। আইপিএলে সিএসকের হয়ে তিনি নজর কেড়েছিলেন। এদিন প্রথম ম্যাচেও তুষার কিন্তু ভাল বল করেছেন। ভারতীয় বোলারদের মধ্যে খলিল আমেদ ৩২ রানে ২টি উইকেট নিয়েছেন। এছাডা একটি করে উইকেট নেন শিবম দুবে, অভিষেক শর্মা ও ওয়াশিংটন সুন্দর।
শুভমন এদিন টেসে জিতে জিম্বাবোয়েকে আগে ব্যাট করতে দেওয়ার পর তারা ২০ ওভারে ৭ উইকেটট হারিয়ে তুলেছিল ১৫২ রান। অধিনায়ক সিকান্দার রাজা সবথেকে বেশি ৪৬ রান করেছেন। জিম্বাবোয়ের দুই ওপেনার মাধেবেয়ার (২৫) ও মারুমনি (৩২) ৬৩ রান তুলে ফেললেও এরপর জিম্বাবোয়ের ব্যাটাররা আর বেশি সুবিধা করতে পারেননি। সিকান্দার ওই রান করতে না পারলে তাদের অবস্থা আরও খারাপ হত।
ভারত অবশ্য ইনিংসের শুরু থেকেই জিম্বাবোয়ের বোলারদের দাঁড়াতেই দেয়নি। শুভমন প্রথমে একটা দিক আগলে রেখে যশস্বীকে আক্রমণে এগিয়ে দিয়েছিলেন। পরে তিনিও ছেড়ে কথা বলেননি। ২৮ বল বাকি রেখেই জয়ের রান তুলে নিয়েছে ভারত।