জেলায় জেলার চরম হয়রানির শিকার প্রবীণ ও অসুস্থরা, বর্ধমানে এসআইআর ভোগান্তি তৃতীয় দিনেও

গত দু’দিন সকাল থেকেই কখনও কোলে, কখনও বা কার হাত ধরে শুনানি কেন্দ্রে নিয়ে আসতে হচ্ছিল ভোটারদের। টিভিতে সেই ছবি দেখাও গিয়েছে।

Must read

সংবাদদাতা, বর্ধমান : এসআইআর শুনানির তৃতীয় দিনেও সাধারণ মানুষের হয়রানি অব্যাহত। লাগামছাড়া হয়রানির অভিযোগে শেষ পর্যন্ত নির্বাচন কমিশন ঘোষণা করতে বাধ্য হয়েছে আশির উর্ধ্বদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে শুনানি করবেন আধিকারিকরা। কিন্তু সেই নির্দেশ তলা পর্যন্ত পৌঁছয়নি। তাই ৮৪ বছর বয়সেও আসতে হল শুনানি কেন্দ্রে। গত দু’দিন সকাল থেকেই কখনও কোলে, কখনও বা কার হাত ধরে শুনানি কেন্দ্রে নিয়ে আসতে হচ্ছিল ভোটারদের। টিভিতে সেই ছবি দেখাও গিয়েছে।

আরও পড়ুন-ভূগর্ভস্থ জলস্তর রক্ষায় জল সংরক্ষণের পরিকল্পনা তৈরি

তৃতীয় দিনে শুনানি কেন্দ্রের বাইরে হুইল চেয়ারের ব্যবস্থা করল কমিশন। পাশাপাশি অসুস্থ ভোটার বা শারীরিক সমস্যা আছে এমন ভোটার শুনানি কেন্দ্রে এলে তাঁদের কাছে গিয়ে নথিপত্র যাচাই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার নির্দেশ দেয় কমিশন। তাতেও দুর্ভোগ অব্যাহত। যেমন ঋতু রজক। দশ মাস হল পা ভেঙে শয্যাশায়ী। কোমর থেকে পা অসাড়। তাঁকেও আসতে হয়েছে। পাড়ার লোকজন পাঁজাকোলা করে টোটোয় তুলে দিয়েছেন। হুইল চেয়ারে বসতে পারছেন না। বিএলও-কে জানিয়েও সুরাহা হয়নি। বাধ্য হয়েই আসতে হয়েছে। আবার দুঃখহরণ সরকার, বয়স ৭৬। হার্টের রোগী। হয়রানি থেকে ছাড় পাননি। স্ত্রীর ফর্মে আত্মীয়ের জায়গায় স্ত্রীর বাবা-মায়ের নাম লিখেছিলেন। এটুকু ভুল বিএলওই সংশোধন করে নিতে পারত। তবু তাঁদের ডেকে পাঠিয়ে দুর্ভোগে ফেলা হলো। ভাঙা পা নিয়ে হাজির স্ত্রীও।

Latest article