প্রতিবেদন : আধুনিকীকরণের নামে লবডঙ্কা! কাজের বেলায় অষ্টরম্ভা। এত আধুনিকীকরণের পরও দু-একদিন পরপরই বিপর্যস্ত হচ্ছে সিগন্যালিং সিস্টেম। যান্ত্রিক (signal outage) গোলযোগে শিকেয় উঠছে ট্রেন চলাচল। আর ফল ভুগতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। নিত্য অফিস যাতায়াতে কালঘাম ছুটছে যাত্রীদের। সোমবার থেকে যেমন সাঁতরাগাছি রেল ইয়ার্ডে নন-ইন্টারলকিং সিগন্যাল (signal outage) সিস্টেমে গোলযোগ কাটছেই না। গতকাল সাঁতরাগাছি স্টেশনে নবনির্মিত ইলেকট্রনিক ইন্টারলকিং সিস্টেমে প্রযুক্তিগত ত্রুটিতে ভেঙে পড়ে রেল পরিষেবা। সকাল থেকে ১০-১৫ ঘণ্টা লেটে ছেড়েছে একাধিক ট্রেন। মঙ্গলবারও সেই সমস্যার সমাধান করতে পারেনি দক্ষিণ-পূর্ব রেল। যেহেতু হাওড়া-খড়্গপুর ডিভিশনের বেশিরভাগ এক্সপ্রেস ট্রেনই সাঁতরাগাছি হয়ে যায়, তাই মুম্বই, বেঙ্গালুরু, সেকেন্দ্রাবাদ, চেন্নাইগামী একাধিক দূরপাল্লার ট্রেনের নির্ধারিত সময়ে ছাড়া লাটে উঠেছে। চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন হাওড়া-খড়্গপুর শাখার যাত্রীরা। বাতিল করতে হয়েছে প্রায় ২০০টি লোকাল-এক্সপ্রেস ট্রেন। বারবার বদলে যাচ্ছে ট্রেন ছাড়ার নির্ধারিত সময়। যার জেরে যাত্রীদের ভিড় বাড়ছে হাওড়া স্টেশনে। কখন ট্রেন ছাড়বে, আদৌও ছাড়বে তো? তৈরি হয়েছে ঘোর অনিশ্চয়তা। হাওড়ার নিউ কমপ্লেক্সে পরিস্থিতি সামাল দিতে মোতায়েন হয়েছে র্যাফও। গত ৩০ এপ্রিল থেকে ১৮ মে পর্যন্ত সাঁতরাগাছিতে ইন্টারলকিং ও নন-ইন্টারলকিং সিস্টেমের কাজের জন্য প্রতিদিনই ট্রেন বাতিল করেছে রেল।
আরও পড়ুন- কেন্দ্রের বঞ্চনা সত্ত্বেও উত্তরে উন্নয়নের জোয়ার: মুখ্যমন্ত্রী