সংবাদদাতা, শান্তিনিকেতন : পৌষমেলার আয়োজন করার জন্য বিশ্বভারতীকে সাতদিন আগে দেওয়া আবেদনের কোনও উত্তর না পেয়ে ফের বিশ্বভারতীর কর্মসচিবকে চিঠি দিল পৌষমেলা বাঁচাও কমিটি। উল্লেখ্য, গত ৯ নভেম্বর পৌষমেলা নিয়ে একটি আবেদনপত্র জমা দেয় পৌষমেলা বাঁচাও কমিটি। আজ অবধি তার কোনও জবাব দেননি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। চিঠির জবাব না পেয়ে ফের বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিলেন তাঁরা।
আরও পড়ুন-শুভেন্দুর মন্তব্যে ক্ষমা চাইতে পারবেন মোদি- শাহ? বিজেপিকে তোপ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের
আগের চিঠির মতো এবারও তাঁরা নতুন করে দেওয়া চিঠিতে আবেদন জানিয়েছেন, শতাব্দীপ্রাচীন মেলা আয়োজন করতে বিশ্বভারতী দ্রুত প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করুক। কারণ হাতে সময় একেবারেই কম। এভাবে বিশ্বভারতী নিশ্চুপ থাকলে ঐতিহ্যবাহী পৌষমেলা বিলুপ্ত হয়ে যাবে। অন্যদিকে ‘শিক্ষা অঙ্গনে ছাত্র রাজনীতি— একুশ শতকের দ্বিতীয় শতকে বিশ্বভারতী’ শিরোনামে একটি খোলা চিঠিতে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ বর্তমান পরিস্থিতিতে এই বিশ্ববিদ্যালয় কোন জায়গায় দাঁড়িয়ে সেই বিষয়ে আলোকপাত করার চেষ্টা করেছে। সেখানে। এক্ষেত্রে কিন্তু এই খোলা চিঠিতে কোথাও উপাচার্যের ব্যর্থতা বা স্বেচ্ছাচারিতা নিয়ে বা তাঁর জন্যই যে বর্তমান পরিস্থিতির উদ্ভব, রবীন্দ্র-ঐতিহ্য নষ্ট হচ্ছে সে কথা ঘুণাক্ষরেও স্বীকার করা হয়নি। বরং বিশ্বভারতীর বর্তমান অরাজকতা নিয়ে বরং শিক্ষার্থীদের কোমলমতি হিসেবে উল্লেখ করে শিক্ষকরাই আসলে যত নষ্টের মূল বলে তাঁদের দায়ী করা হয়েছে। প্রশ্ন তোলা হয়েছে শিক্ষার্থীদের গুণগত মান অর্থাৎ তাদের আচরণ, শিক্ষকদের প্রতি শ্রদ্ধা ইত্যাদি নিয়ে।