প্রতিবেদন : ক্লাবের আবেগ ভাঙিয়ে, ক্লাবের জার্সি পরে রাজনীতি বরদাস্ত করা হবে না। স্পষ্ট জানিয়ে দিল বাংলার তিন প্রধান ক্লাব— মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গল ও মহামেডান। রবিবার সন্ধ্যায় যুবভারতীর গেটের সামনে যে ঘটনার ছবি ও স্লোগান দেখা গিয়েছে তা মোটেই কাম্য নয়। তিন প্রধানের কর্তাদের স্পষ্ট বক্তব্য, ময়দান-ফুটবল একদিকে, রাজনীতি অন্যদিকে। আরজি করের তরুণী চিকিৎসক ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় রাজ্যের মানুষের মতো আমরাও মর্মাহত-ব্যথিত। দোষীদের ফাঁসি চাই। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও প্রথম দিনই বলেছিলেন, এই ঘৃণ্য অপরাধের একমাত্রা সাজা হল ফাঁসি। কলকাতা পুলিশ তদন্ত করছিল।
আরও পড়ুন-সিকিমে ভয়াবহ ভূমিধস
হাইকোর্টের নির্দেশে তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে। কিন্তু যেভাবে ক্লাবের নাম জড়িয়ে ও জার্সি পরে রাজনৈতিক স্লোগান তোলা হয়েছে, কোনও প্রকৃত ফুটবলপ্রেমী এ-জিনিস করতে পারে না। এর সঙ্গে ফুটবলের কোনও সম্পর্ক নেই। মোহনবাগানের দেবাশিস দত্ত, ইস্টবেঙ্গলের দেবব্রত সরকার (নিতু) ও মহামেডানের ইসতিয়াক আহমেদ— এই তিন প্রধানের তিন কর্তা মঙ্গলবার স্পোর্টস জার্নালিস্ট ক্লাবে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানালেন, এই তিন ক্লাব শুধু বাংলার নয় দেশেরও গর্ব। রবিবার যে ঘটনা ঘটেছে তাতে তিন ক্লাবেরই সম্মান ধুলোয় মিশে গিয়েছে। আমাদের সমর্থকদের থেকে এমন আশা করি না। তিন প্রধানের কর্তারাই মনে করেন, পুলিশ ডার্বি বন্ধের যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তা সঠিক ছিল। কারণ, পুলিশের তরফে যে অডিও টেপ প্রকাশ করা হয়েছে তাতে যুবভারতীতে খেলা চলার সময় গণ্ডগোল পাকানো, পেট্রোল বোমা মারা-সহ একাধিক পরিকল্পনা ছিল। এই ঘটনা ঘটলে আগুন জ্বলে যেত বাংলায়। পুলিশ সঠিক পদক্ষেপ করেছে। ডার্বি নিয়ে আমাদেরও আবেগ রয়েছে। প্লেয়াররাও সবসময় ডার্বি খেলতে মুখিয়ে থাকেন। কিন্তু সেদিন কোনও উপায় ছিল না। পুলিশকে কঠোর সিদ্ধান্ত নিতেই হত।
আরও পড়ুন-সিকিমে ভয়াবহ ভূমিধস
তিন ক্লাবের প্রধান সমর্থকদের উদ্দেশে অনুরোধ জানিয়ে বলেন, ক্লাবের মর্যাদা হানি হয়, জার্সির মর্যাদা হানি হয়, এরকম কোনও পদক্ষেপ আপনারা করবেন না। আমরা সব সময় আমাদের সমর্থকদের পাশে থেকেছি। আগামী দিনেও থাকব। তাদের আবেগকে সম্মান জানিয়েই বলছি, আমরা ক্লাব কর্তারা তীব্র ভাষায় এঘটনার নিন্দা করছি। গোটা দেশ নিন্দা করছে। এদিন সাংবাদিক বৈঠকের শুরুতেই রূপক সাহা তিন প্রধানের তরফে এই ঘটনার নিন্দাবার্তা পড়ে শোনান। কিন্তু ক্লাবের মর্যাদাকে মাথায় রেখেই প্রতিবাদ আন্দোলন হওয়া উচিৎ, বক্তব্য তিন প্রধানের।