অসীম চট্টোপাধ্যায়, দুর্গাপুর : মহাসপ্তমীর সকালেই সিঁদুর খেলায় মেতে ওঠেন গোপালমাঠের রায় পরিবারের মহিলারা। আড়াইশো বছরেরও বেশী সময় ধরে এই নিয়মই চলে আসছে পরিবারের দুর্গোৎসবে। পরিবারের অন্যতম প্রবীণ সদস্য মনোরঞ্জন রায় এবং দুর্গাপুর নগর নিগমের ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল পুরপিতা মানস রায় বলেন, গোপালমাঠের রায় পরিবারেই এমন একটি নিয়ম চলে আসছে যুগের পর যুগ ধরে।পারিবারিক রায়পুকুরে নবপত্রিকা স্নানের পর যথানিয়মেই দেবীর পূজার্চণা অনুষ্ঠিত হয়। পরিবারের সদস্য তরুণ রায় ও বরুণ রায় বলেন, রায় পরিবারের দুর্গাপুজোর বিশেষত্বই হল সমস্ত এয়োস্ত্রীরা মহাসপ্তমীর সকালেই সিঁদুর খেলায় মেতে ওঠেন।কেন বিজয়া দশমীতে সিঁদুর খেলা হয়না, সে ব্যাপারে অবশ্য কেওই তার সঠিক কারণ জানাতে পারলেন না। বরুণ বাবু বলেন,হয়তো দেবী মা স্বপ্নাদেশ দিয়ে মহাসপ্তমীতেই সিঁদুর খেলার বিধান দিয়েছিলেন। তাই সেই নিয়মই চলে আসছে । পুজো উপলক্ষ্যে যে যেখানে থাকেন, সকলেই একত্রিত হন ।
আরও পড়ুন-সপ্তমীতেই সিঁদুর খেলায় মাতেন বধূরা
দেবীর স্থায়ী মন্দিরের দাওয়াতেই চলে চারদিনব্যাপী খাওয়া দাওয়া। পরিবারের সদস্যা রীনা রায়, স্রোতা রায়, ঈশিতা রায়রা জানালেন, এই রায় পাড়ায় মোট তিনটি দুর্গাপুজো হয়। ব্রাহ্মন প্রধান রায় পরিবার ছাড়াও একটি বাউরি সম্প্রদায়ের এবং একটি হাড়ি সম্প্রদায়ের দুর্গাপুজো হয় । তবে প্রথমে রায় পরিবারের পক্ষ থেকেই নবপত্রিকা স্নান করানোর পরই অন্যান্য পরিবারের নবপত্রিকার স্নানযাত্রা শুরু হয়। রায় পরিবারের দেবীপুজো হয় বৈষ্ণব মতে। তাই মহাষ্টমীতে মন্ডা বলিদানের প্রথা রয়েছে বলে জানান বরুণ বাবু।