প্রতিবেদন : এসআইআর (SIR) ইস্যুতে সংসদে মোদি সরকারের মুখোশ খুলে দিলেন লোকসভায় তৃণমূল কংগ্রেসের উপ দলনেতা শতাব্দী রায়৷ বুধবার নির্বাচনী সংস্কার সংক্রান্ত আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি বলেন, এসআইআর বা ‘সার’ (SIR) শব্দটি সম্মান জানাতে ব্যবহার করা হয়৷ কিন্তু মোদি সরকার এবং নির্বাচন কমিশন শব্দটিকে আজ আতঙ্কে পরিণত করেছে। এই শব্দটি আজ গব্বর সিংয়ের মতো আতঙ্ক হয়ে উঠেছে। এরপরেই শতাব্দীর প্রশ্ন, এসআইআরের আসল উদ্দেশ্য কী? রাজনীতি করার জন্য এসআইআরকে ব্যবহার করা হচ্ছে। আগে নির্বাচন কমিশন বলেছিল, এপিক ব্যবহার বাধ্যতামূলক৷ এখন বলছে, এপিক বাধ্যতামূলক নয়৷ বলা হচ্ছে যাদের নাম ভোটার তালিকায় থাকবে না তারাও দেশের নাগরিক হতে পারবেন৷ প্রশ্ন থাকছে, এরা কী তাহলে দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক হবেন? কেন তিন মাসের মধ্যে এসআইআর করা হচ্ছে? বিএলও-রা আত্মহত্যা করছেন কাজের চাপে৷ তার পরেও কেন চলছে এসআইআর? অনুপ্রবেশ ইস্যুতেও এদিন মোদি সরকারকে আক্রমণ করেন বীরভূমের তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়৷ তাঁর প্রশ্ন, অনুপ্রবেশ রোখার দায়িত্ব কার? সীমান্ত সুরক্ষার দায়িত্ব তো বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের৷ বিএসএফ তো স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অধীন। তা হলে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কি করছেন? যারা অনুপ্রবেশ করছে, তারা তো অ্যাটম বোম নয়, অদৃশ্যও নয়৷ তাহলে তারা অনুপ্রবেশ করছে কী করে? এটা তো কেন্দ্রীয় সরকারের ব্যর্থতা৷
বিজেপি যতই স্যার, স্যার বলে চিৎকার করুক না কেন, বাংলায় শুধুই ম্যাডাম, ম্যাডাম আওয়াজ উঠছে৷ বাংলায় আগামী বছর বিধানসভা নির্বাচনে স্যার হেরে যাবেন ম্যাডামের কাছে৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই জয়ী হবেন৷
আরও পড়ুন- বঙ্কিমচন্দ্রকে অপমান! প্রতিবাদে গর্জে উঠলেন প্রপৌত্র সজল

