প্রতিবেদন : ভোটার তালিকায় নিবিড় সমীক্ষার (SIR) প্রতিবাদে দেশে প্রথম সরব হন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁরই দেখানো পথে মঙ্গলবার তৃণমূল কংগ্রেস-সহ ইন্ডিয়া ব্লকের বিরোধী জোট ভোটার তালিকার নিবিড় সমীক্ষা নিয়ে প্রতিবাদে সোচ্চার হল সংসদের অলিন্দে। মোদি সরকার রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে নির্বাচন কমিশনকে ব্যবহার করছে— কেন্দ্রকে এই অভিযোগে সংসদের ভিতরে-বাইরে ঝড় তুলল বিরোধীরা। লোকসভার মকরদ্বারের সামনে ধরনা-প্রদর্শন করে তৃণমূল কংগ্রেসের লোকসভার মুখ্যসচেতক সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, কংগ্রেস, সপা, আরজেডি-সহ অন্য বিরোধী দলের সাংসদরা। বিরোধীদের অভিযোগ, নির্বাচন কমিশনকে ব্যবহার করে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিকে নষ্ট করে দিতে চাইছে মোদি সরকার। এদিন হাতে পোস্টার নিয়ে মোদি সরকারের স্বেচ্ছাচারের বিরুদ্ধে স্লোগান দেয় ইন্ডিয়া শিবির।
আরও পড়ুন- ভিনরাজ্যে বাঙালি শ্রমিক হেনস্থা: হরিয়ানার চিঠি ঘিরে ফের ক্ষোভে ফুঁসলেন মুখ্যমন্ত্রী
মঙ্গলবার সংসদের অধিবেশনের শুরু থেকে লোকসভা এবং রাজ্যসভায় তীব্র প্রতিবাদ জানায় বিরোধী শিবির। লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার কাছে বিরোধী সাংসদেরা নিবিড় সমীক্ষা নিয়ে আলোচনার দাবি জানান। কিন্তু সেই দাবি না মেনে কৃষক ইস্যুতে আলোচনা হবে বলে জানান স্পিকার। প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে ওঠে অধিবেশন। সরকার বিরোধী শিবিরের দাবিতে আলোচনায় রাজি না হওয়ায় লোকসভা ওয়েলে নেমে স্লোগান দিতে শুরু করে তৃণমূল কংগ্রেস, কংগ্রেস, ডিএমকে, শিবসেনা, আরজেডি এবং সমাজবাদী পার্টির সাংসদেরা। দফায় দফায় মুলতুবি হয়ে যায় লোকসভার অধিবেশন। ভণ্ডুল হয়ে যায় প্রশ্নোত্তরপর্ব। বিরোধীদের দাবিতে জিরো আওয়ারের মাঝখানেই থামিয়ে দিতে বাধ্য হন স্পিকার। শেষে দ্বিতীয় দিনেও সংসদের অধিবেশন দিনের মতো মুলতুবি হয়ে যায়। রাজ্যসভায় বিরোধীরা একইভাবে এসআইআর ইস্যুতে আলোচনার দাবি জানিয়ে সোচ্চার হন। বিরোধীদের দাবি সরকার না মানায় উত্তাল হয় রাজ্যসভার। দিনের মতো অধিবেশন মুলতুবি হয়ে যায়।