কার্গিল দিবসের নামে এসআইআরের ছক!

Must read

প্রতিবেদন : ‘কার্গিল বিজয় দিবস’কে (Kargil Diwas ) সামনে রেখে এবার নয়া ছক ‘বিজেপির নির্বাচন কমিশনের’। ‘কার্গিল বিজয় দিবস’ পালনের মোড়কে স্পেশ্যাল ইন্টেনসিভ রিভিশন-এর (এসআইআর) প্রচার চালাতে চাইছে নির্বাচন কমিশন। সেই উদ্দেশ্যেই এই অনুষ্ঠান করতে বেছে নেওয়া আলিপুর বডিগার্ড লাইন্সের প্রেক্ষাগৃহকেই। যদিও চাপের মুখে এখন নির্বাচন কমিশনের দাবি ওই অনুষ্ঠান নাকি তারা করছে না!
এই মুহূর্তে বিহারের এসআইআর নিয়ে তোলপাড় দেশ। সংসদের ভিতরে ও বাইরে এই নিয়ে প্রতিবাদের ঝড় তুলেছে তৃণমূল-সহ ইন্ডিয়া জোট। বিহার বিধানসভায় রোজই প্রায় হাতাহাতি হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে জাতীয় নির্বাচন কমিশন বাংলার সরকারকে নোটিশ পাঠিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের অফিসকে স্বতন্ত্র করতে বলেছে। বাংলা-সহ সারা দেশেই ওই অভিযান চালানোর প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। যার অঙ্গ হিসেবে ভোটার তালিকা সংশোধন-পরিমার্জনের সঙ্গে যুক্ত আধিকারিকদের ভাতা বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। এই পরিস্থিতিতে হঠাৎ করে কার্গিল দিবস (Kargil Diwas ) উদযাপনে নেমে পড়েছে নির্বাচন কমিশন।
তৃণমূলের প্রশ্ন
• কেন নির্বাচন কমিশন কার্গিল দিবস পালন করবে?
• তা যদি করেও সেটা আলিপুর বডিগার্ড লাইনের প্রেক্ষাগৃহে কেন, যেখানে কলকাতায় ফোর্ট উইলিয়াম-সহ বিভিন্ন জায়গায় সেনাবাহিনীর কার্যালয় রয়েছে!
• সবচেয়ে বড় প্রশ্ন, বেছে বেছে ভবানীপুরের প্রেক্ষাগৃহ নেওয়া হল কেন?
‘কার্গিল বিজয় দিবস’ উদযাপনকে সামনে রেখে পুলিশ পরিবারের সদস্যদের মধ্যে এসআইআরের উপযোগিতা প্রচার করতে চাইছে নির্বাচন কমিশন। ইতিমধ্যেই রাজ্যকে না জানিয়েই কমিশন বিভিন্ন নির্দেশ দিয়ে চলেছে। অভিযোগ, ২০২৬-এর বিধানসভা ভোটের আগে নির্বাচন কমিশনের একাংশ বিজেপির কার্ড খেলতে শুরু করে দিয়েছে। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই বলেছিলেন, ইডি-ইসিকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে কাজে লাগায় মোদি সরকার। বিরোধীদের চাপে ফেলতে কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলিকে ব্যবহার করে বিজেপি। বিধানসভা নির্বাচনে আগেই সেই খেলা শুরু হয়ে গিয়েছে বলে বক্তব্য তৃণমূল কংগ্রেসের।

আরও পড়ুন: ফের সুপ্রিম জয়, এসএসসি-র অবস্থানকেই মান্যতা শীর্ষ আদালতের

Latest article