প্রতিবেদন : একসময়ে দিনেরবেলাতেও ছিল গা ছমছমে পরিবেশ। শ্মশানের ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়ত লাগোয়া এলাকায়। টলিনালা ছিল দূষিত জলে ভরা। দিনেরাতে সমাজবিরোধীদের দাপটে অতিষ্ঠ স্থানীয় মানুষ। সিরিটি নামেই যেন আতঙ্ক। এ সবই বাম আমলের কথা। জননেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসার পরে দ্রুত বদলে যায় ছবিটা। দূষণমুক্ত হয় পরিবেশ। বন্ধ হয় সমাজবিরোধীদের দৌরাত্ম্য। এবারে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশেই অত্যাধুনিক রূপ পেতে চলেছে সিরিটি মহাশ্মশান (Siriti Burning Ghat)। সৌন্দর্যায়ন এবং আমূল সংস্কারের জন্য মোট ৭ কোটি ৯৭ লক্ষ ৮০ হাজার ৯৭৪ টাকা বরাদ্দের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে কলকাতা পুরসভার মেয়র পারিষদের বৈঠকে। এখন রাজ্য অর্থ দফতরের চূড়ান্ত অনুমোদনের প্রতীক্ষায় পুরসভা। বেশ কয়েক বছর আগের কথা। বিশিষ্ট চিত্র পরিচালক ঋতুপর্ণ ঘোষের সৎকার হয়েছিল সিরিটি মহাশ্মশানে। উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। শ্মশানের দুরবস্থা দেখে সেদিনই তিনি নির্দেশ দিয়েছিলেন দ্রুত আমূল সংস্কারের। ফিরহাদ হাকিম মহানাগরিকের দায়িত্ব নেওয়ার পরে শ্মশানের আধুনিকীকরণের বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করেন। বিশেষ উদ্যোগ নেন স্থানীয় কাউন্সিলর মেয়র পারিষদ তারক সিং। তাঁকে সঙ্গে নিয়ে মেয়র ইতিমধ্যেই পরিদর্শন করেছেন প্রকল্পের জায়গাটি। কী কী থাকছে অত্যাধুনিক মহাশ্মশানে? যুক্ত হচ্ছে দু’টি নতুন ইলেকট্রিক চুল্লি। অর্থাৎ ইলেকট্রিক চুল্লির সংখ্যা দাঁড়াচ্ছে ৪। তৈরি হবে একটি নতুন পরিবেশবান্ধব কাঠের চুল্লিও। আধুনিক হবে পুরনো কাঠের চুল্লিও। আরও অনেকটাই বিস্তৃত হবে শ্মশানের এলাকা। জুড়ছে আরও ১৪ কাঠা জমি। শ্মশানযাত্রীদের জন্য থাকবে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বিশ্রামকক্ষ। খনন করা হবে একটি পুকুর। সেখানে থাকবে গঙ্গার জল। দাহ করার পরে প্রিয়জনেরা স্নান করবেন এখানেই। ছুটতে হবে না প্রিন্সেপ ঘাট বা বাবুঘাটে। তৈরি হবে বেশ কয়েকটি দোকানঘরও। তারক সিংয়ের আশা, সিরিটি মহাশ্মশানের (Siriti Burning Ghat) অত্যাধুনিকীকরণের কাজ শেষ হলে নিমতলা এবং কেওড়াতলা মহাশ্মশানের উপরে চাপ অনেকটাই কমবে।
আরও পড়ুন: বিজেপির সম্প্রদায়িক রাজনীতির জবাব, সম্প্রীতির পুজো কাঁথিতে