সংসদীয় রীতি ভেঙে বাংলার বিরুদ্ধে মিথ্যাচার সীতারামনের

সংসদীয় রীতিনীতির তোয়াক্কা করে না বিজেপি, বারবারই তার প্রমাণ মিলেছে৷

Must read

প্রতিবেদন: সংসদীয় রীতিনীতির তোয়াক্কা করে না বিজেপি, বারবারই তার প্রমাণ মিলেছে৷ মঙ্গলবারও একই উদাহরণ সামনে এসেছে লোকসভায়, যেখানে প্যানেল স্পিকারের ভূমিকায় থাকা তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদারের সামনেই বাংলার বিরুদ্ধে একাধিক মিথ্যে অভিযোগ করতে থাকেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন নিজে৷ সংসদীয় রীতি বলে, এমন ঘটনা একেবারেই কাঙ্ক্ষিত নয়৷ প্যানেল স্পিকার যে রাজ্যের সেই রাজ্যেরই বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ করছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী, এই ঘটনা সংসদীয় অসৌজন্যকেই তুলে ধরে, দাবি সংসদীয় সূত্রের৷

আরও পড়ুন-বিষয় সংবিধান, রাজ্যসভায় মোদি সরকারকে চ্যালেঞ্জ তৃণমূলের

প্যানেল স্পিকারের পদে বসা তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার নিজে নির্মলা সীতারামনের বিরুদ্ধে কোনও কথা বলতে না পারলেও চুপ করে বসে থাকেননি তৃণমূল কংগ্রেসের সংসদীয় দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়৷ নিজের আসনে উঠে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, হাত জোড় করে বলছি, এই ভাবে একটি রাজ্যকে বঞ্চনা করবেন না৷ যদি আমাদের রাজ্যের কোথাও অনিয়ম হয়ে থাকে, তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক৷ একটি বা দুটি জায়গার জন্য গোটা রাজ্যকে কেন বঞ্চনা করা হবে? মনরেগা, আবাস যোজনার ক্ষেত্রে বাংলার ন্যায্য ১ লক্ষ কোটি টাকার পাওনা কেন আটকা রাখা হবে? এইভাবে জোর করে বাংলার মানুষের উপরে আপনাদের প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা সফল হবে না, প্রত্যেকবারই ফল হবে ৬-০৷ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায় কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি৷

Latest article