প্রতিবেদন : এবার মহানায়ক সম্মান প্রদান অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকেও ভাষা সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সরব হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, বাংলা ভাষার উপর সন্ত্রাস চলছে। বাংলা ভাষায় যারা কথা বলে তাদের উপর খুব অত্যাচার হচ্ছে। সমাজকে জাগ্রত করতে আরেকটা ভাষা আন্দোলনের প্রয়োজন। আমাদের বাংলা ভাষা সারা পৃথিবীতে পঞ্চম স্থানে। এশিয়াতে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। প্রায় ৩০ কোটি লোক বাংলা ভাষায় কথা বলে।
আরও পড়ুন-বিজেপির পরিযায়ী নেতাকে ধুয়ে দিল তৃণমূল কংগ্রেস
আজ বাংলা ভাষায় কথা বললে তাদের জেলে নিয়ে যাওয়া হবে! এটা আমরা মানতে পারছি না। আপনারাও মানতে পারছেন না। এটা নিয়ে আমাদের প্রতিবাদ করা উচিত সর্বস্তরে। বাংলা আমাদের মাতৃভূমি। আমাদের ধর্মভূমি। আমাদের স্বপ্নভূমি। সংস্কৃতির ভূমি। জাগরণের ভূমি। এই ভূমিকে আমাদের রক্ষা করতে হবে। ভাষা সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে এভাবেই সর্বত্র প্রতিবাদে সরব হচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। উত্তমকুমারের ৪৫তম প্রয়াণদিবসে রাজ্য সরকারের তরফে এই সম্মান প্রদান অনুষ্ঠানে এদিন ছয় গুণী শিল্পীকে সম্মান জানানো হয়। পরিচালক গৌতম ঘোষকে মহানায়ক শ্রেষ্ঠ সম্মান প্রদান করা হয়। এ ছাড়াও অভিনেত্রী গার্গী রায়চৌধুরী, সঙ্গীত শিল্পী ইমন চক্রবর্তী, রূপঙ্কর বাগচী, মেকআপ আর্টিস্ট সোমনাথ কুন্ডু এবং প্রোডাকশন ডিজাইনার আনন্দ আড্যিকে মহানায়ক সম্মান প্রদান করা হয়। মুখ্যমন্ত্রী বাংলা ভাষা এবং বাংলা গানকে আরও বেশি করে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা বলেন। টলিউডে বাংলা গানের ব্যবহার আরও বেশি করে হওয়া উচিত। এখানে তো সংগীত তৈরি করার লোক কম নেই। এখন যাঁরা গান করেন তাঁরাই শুধু গান— এখনকার নতুন ট্রেন্ড এটা। অন্য ভাষাকে অসম্মান করার কথা বলছি না। কিন্তু ডাবিং করতে গিয়ে আমরা যেন অরিজিনালকে হারিয়ে না ফেলি। আমরা সব ভাষা নিয়ে গর্ব করি দেশকে নিয়ে গর্ব করি সেই সঙ্গে আমার বাংলা ভাষাকে নিয়েও গর্ব করি। বাংলা সিরিয়ালেও আরও বেশি করে বাংলা গানের ব্যবহার হোক। এদিনের অনুষ্ঠানে মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, ফেডারেশনের সভাপতি স্বরূপ বিশ্বাস, ফিরহাদ হাকিম, মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য-সহ একাধিক মন্ত্রী, রাজ্য সরকারের আধিকারিক এবং টালিগঞ্জের অভিনেতা-অভিনেত্রী ও সমস্ত কলাকুশলী উপস্থিত ছিলেন।