প্রতিবেদন : ১৪ দিনের শিশুর ঠিকমতো তৈরিই হয়নি হৃদযন্ত্র। কিন্তু তার মধ্যেই ছয়বার হার্ট অ্যাটাক হয়ে গিয়েছে। আবার ফুসফুসে টিউমার রয়েছে। এই জটিল পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণ দিয়ে ফের নজির গড়ল এসএসকেএম হাসপাতাল। হাসপাতাল সূত্রে খবর, কার্যত নিথর অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল ১৪ দিনের এই শিশুকে। ততক্ষণে ১৪ দিনে ৬ বার হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত সে। নিঃশ্বাস পড়ছিল না। তড়িঘড়ি তাকে ভেন্টিলেশনে পাঠানো হয়। নিওনেটাল সার্জেন ডাঃ দীপঙ্কর রায় কেসটি হাতে নেন। খুদেকে ভাল করে পরীক্ষা করেন। হার্টের সিটি স্ক্যান করেন। সেখানেই ধরা পড়ে হৃদযন্ত্র ভাল করে তৈরিই হয়নি।
আরও পড়ুন-প্রাক্তন বিচারপতিকে কটাক্ষ আইনজীবীর
উল্টে গর্ভাবস্থায় শিশুর ফুসফুসের মধ্যে সিস্ট তৈরি হয়। ক্রমশ সেটি বড় একটি টিউমারের আকার নেয়। সেখানে পুঁজ জমতে থাকে। চিকিৎসার ভাষায় এই রোগকে কনজিনেন্টাল সিস্টিক অ্যাডিনোমাটোয়েড ম্যালফরমেশন (সিসিএম) বলা হয়ে থাকে। এই রোগ বিরল নয়, তবে ঝুঁকি রয়েছে। প্রাণহানির ভয় থাকে। তাই শিশুকে বাঁচিয়ে তোলা চ্যালেঞ্জ ছিল চিকিৎসকদের কাছে। তবে এর থেকে বাঁচার একমাত্র উপায় অস্ত্রোপচার। ডাঃ দীপঙ্কর রায়ের নেতৃত্বে একদল নিওনেটাল সার্জেন শিশুর ফুসফুসের উপর বসে থাকা মাংসপিণ্ড কেটে বাদ দিয়ে ফের সেই অংশ সেলাই করেন। এরপর টানা সাতদিনের বেশি ভেন্টিলেশনে থাকার পর পর্যায়ক্রমে তাকে সুস্থ করে তোলা হয়। এর আগে পিজির নিওনেটাল কেয়ার ইউনিটে সাতদিনের এক শিশু ভর্তি হয়েছিল রক্তবমির সমস্যা নিয়ে। সিটি স্ক্যান করে দেখা যায় ফুসফুস থেকে রক্তক্ষরণ হয়ে তা পেটে চলে যাচ্ছিল। তাকেও অস্ত্রোপচার করে সুস্থ করা হয়। মঙ্গলবার মায়ের কোলে বাড়ি ফেরে একরত্তি। এখন তার বয়স ৫৩ দিন। রাতারাতি ভিআইপি তকমা পাওয়া এমন খুদেকে একবার চোখের দেখা দেখতে এসএসকেএম হাসপাতালের নিওনেটাল কেয়ার ইউনিটে রীতিমতো ভিড়।