প্রতিবেদন: চারিদিকে শুধু বরফ আর বরফ। শুক্রবার গভীর রাতে মরশুমে দ্বিতীয়বার তুষারপাত হয়েছে দার্জিলিঙের (Darjeeling) সান্দাকফুতে (Sandakphu)। শনিবার ভোরে দার্জিলিং শহরের বেশ কিছু বাড়ির ছাউনিতে শিশির জমে থাকতে দেখা গিয়েছে। সিকিমে যদিও গত তিনদিন ধরেই তুষারপাত চলছে। ঠান্ডা হাওয়ার সঙ্গে পাল্লা দিয়েছে কুয়াশা। ঘন কুয়াশায় রানওয়ে ঢেকে যাওয়ায় শনিবার বাগডোগরা বিমানবন্দরে সব উড়ান বাতিল হয়ে যায়। বিমানবন্দরে পৌঁছে বিপাকে পড়েন যাত্রীরা। সোমবার থেকে আকাশ পরিষ্কার হওয়ার কথা রয়েছে। সেক্ষেত্রে দিনের তাপমাত্রা কিছুটা বাড়লেও, রাতের তাপমাত্রা ফের কমবে। মঙ্গলবার রাতে বৃষ্টির জেরে তাপমাত্রা নামতে শুরু করে পাহাড় ও সমতলে। সেদিন রাতেই মরশুমের প্রথম তুষারপাত হয়েছিল সান্দাকফুতে (Sandakphu)। মাঝের দু’দিন তাপমাত্রা সামান্য বেশি থাকলেও, শুক্রবার বিকেলের পর থেকে পারদ নামতে শুরু করে দ্রুত। মৌসম ভবন জানিয়েছে, শনিবার দিনের বেলায় শিলিগুড়ি-জলপাইগুড়ির তাপমাত্রা কমে প্রায় ১০ ডিগ্রি হয়ে যায়। যা এই মরশুমের রেকর্ড। পশ্চিমি ঝঞ্ঝার কারণেই গত সপ্তাহে বৃষ্টি শুরু হয়েছিল। এবার ঝঞ্ঝা বিদায় নিতেই আকাশ পরিষ্কার হয়েছে। রাতে তাপমাত্রা কমেছে এবং কনকনে উত্তুরে হাওয়া টেনে আনছে সমতলে।