এত দ্বেষ-হিংসা, তবু ভালবাসারই জয়, মাগুরা থেকে এগরায় সঞ্চিতা

বেনাপোল-পেট্রাপোল নো-ম্যানস ল্যান্ড দিয়ে যখন নবদম্পতি দেশে প্রবেশ করলেন তখন উলুধ্বনি, শঙ্খধ্বনি আর অসংখ্য মানুষের শুভেচ্ছা।

Must read

প্রতিবেদন : এত দ্বেষ, এত হিংসা (Violence), এত কুকথা। বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর নির্মম অত্যাচারের অভিযোগ। তবু কাঁটাতারের ব্যারিকেডকে উপেক্ষা করেই বাংলাদেশের মাগুরার সঞ্চিতা অনির্বাণ মহাপাত্রর হাত ধরে এলেন এগরায়। বেনাপোল-পেট্রাপোল নো-ম্যানস ল্যান্ড দিয়ে যখন নবদম্পতি দেশে প্রবেশ করলেন তখন উলুধ্বনি, শঙ্খধ্বনি আর অসংখ্য মানুষের শুভেচ্ছা। আক্ষরিক অর্থেই দু’জনে কিংকর্তব্যবিমূঢ়। সাতপাকে বাঁধা পড়েছেন দু’জনে। নতুন জীবনে যেরকম উত্তেজনা আছে তেমনই মন খারাপও রয়েছে বাড়ির জন্য, যাঁরা এই অশান্ত পরিবেশের কারণে এগরায় শুভ অনুষ্ঠানে অংশ নিতে পারবেন না। এগরার অনির্বাণ ঢাকার শাহাবুদ্দিন মেডিক্যাল কলেজে এমবিবিএস পড়তে যান ২০১৬ সালে।

আরও পড়ুন-বীরভূমে তিন খুন, বারো ঘণ্টায় কিনারা পুলিশের

সেখানেই সহপাঠী সঞ্চিতা ঘোষের বন্ধুত্ব থেকে প্রগাঢ় সম্পর্ক। কর্মজীবন শুরু করার পরেই বিয়ের প্রস্তুতি। কিন্তু বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে টানাপোড়েন শুরু হয়। তবে অনির্বাণ ছিলেন দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। বাংলাদেশে গিয়ে শাস্ত্রমতে বিয়ের পর্ব সেরে একেবারে টোপর মাথায় দিয়ে যখন পেট্রোপোলে এলেন তখন সে এক অনাবিল আনন্দের পরিবেশ। পরিবার আসতে না পারায় ভারাক্রান্ত সঞ্চিতার মুখেও তখন অনাবিল হাসি। কোনও রাজনৈতিক হিংসা বা চক্রান্ত ওঁদের আটকাতে পারেনি। এবং কী আশ্চর্য, নবদম্পতি যেদিন ওপার বাংলা থেকে এপার বাংলায় প্রবেশ করলেন, সেদিন ২১ ফেব্রুয়ারি, ভাষাদিবস। সেও ছিল এক ঐতিহাসিক লড়াই। অনির্বাণ-সঞ্চিতার লড়াইও বা কম কিসের!

Latest article