প্রতিবেদন : বেজে উঠল উৎসবের সুর। মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee- Sujit Bose) হাতেই বৃহস্পতিবার সূচনা হল দুর্গাপুজোর উদ্বোধনপর্ব। নিজের হাতে প্রদীপ জ্বালিয়ে জননেত্রী প্রতিমার আবরণ উন্মোচন করলেন শ্রীভূমি স্পোর্টিং, সল্টলেকের এফডি ব্লক এবং টালা প্রত্যয়ের দুর্গাপ্রতিমার। স্মিত হেসে জানিয়ে দিলেন, উৎসবের আনন্দে মহানগরী যাতে গতি না হারায় সেদিকে কড়া নজর রাখবেন তিনি নিজে। বৃহস্পতিবার শ্রীভূমি স্পোর্টিংয়ের পুজোর উদ্বোধন করতে গিয়ে কিছুটা হাল্কা মেজাজেই কথাটা জানিয়ে দিলেন তিনি। পুজোর মূল উদ্যোক্তা দমকলমন্ত্রী সুজিত বসুকে (Mamata Banerjee- Sujit Bose) এ ব্যাপারে সতর্ক থাকতে পরামর্শ দিলেন জননেত্রী। বুঝিয়ে দিলেন, দর্শনার্থীদের ভিড়ে রাস্তা বন্ধ হয়ে গেল, আর মানুষ প্লেন ধরতে পারলেন না— এমন না হয়। বললেন, পুজোর ক’দিন বাড়িতে থেকেই কিন্তু প্রতিটি বিষয়ে নজর রাখি আমি। এদিন প্রতিটি অনুষ্ঠানেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখা গেল একেবারে ফেস্টিভ্যাল মুডে। স্পিকার হাতে তাঁর সুস্পষ্ট মন্ত্রোচ্চারণ মুগ্ধ করেছে মানুষকে। নতুন রূপে টালা ব্রিজের এদিন আত্মপ্রকাশ হয় তাঁর হাত দিয়েই। কিন্তু তার আগেই তিনি উপস্থিত হন একে একে ৩টি পুজো প্রাঙ্গণে। প্রথমেই আমন্ত্রণ রক্ষা করেন শ্রীভূমি স্পোর্টিংয়ের। শুধু উদ্বোধন নয়, সীমিত সময়ের মধ্যেই কুশল বিনিময়, সঙ্গে কিছুটা গল্প-আড্ডাও। সংস্কৃত শ্লোকে কখনও তাঁর কণ্ঠে শোনা গিয়েছে দেবীবন্দনা আবার কখনও মাউথপিস এগিয়ে দিয়ে তিনি গান গাইতে বলেছেন নচিকেতা কিংবা শানকে। বলেছেন, মেন্টাল রিল্যাক্সেশন সবচেয়ে বড় এক্সারসাইজ। ব্যাখ্যা করেছেন, মানসিক স্বাস্থ্যরক্ষার জন্য গান শুনতে হয়, আড্ডা দিতে হয়। আনন্দের আবহে পাড়ায় পাড়ায় আড্ডার পরিবেশের উপযোগিতারও ব্যাখ্যা করেন জননেত্রী। উদ্বোধনপর্বে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তাঁর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী সুজিত বসু, সাংসদ কাকলি ঘোষদস্তিদার, ২ বিধায়ক তাপস চট্টোপাধ্যায়, অদিতি মুন্সি, বিধাননগরের মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তী, চেয়ারম্যান সব্যসাচী দত্ত, গায়ক নচিকেতা, শান প্রমুখ। সবমিলিয়ে পুজোর দিন আষ্টেক আগেই মহানগরীর বুকে মুখ্যমন্ত্রীর হাতে প্রজ্জ্বলিত হল শারদোৎসবের দীপ।