আইন বাঁচাতে নরম বিশ্বভারতী

দীর্ঘ ২৬ দিন লড়াইয়ের শেষে জয়ী হলেন বিশ্বভারতীর আন্দোলনরত পড়ুয়ারা। ইতিমধ্যেই তাঁদের জন্য হস্টেল খুলে দেওয়া শুরু হয়েছে।

Must read

দেবর্ষি মজুমদার, শান্তিনিকেতন : দীর্ঘ ২৬ দিন লড়াইয়ের শেষে জয়ী হলেন বিশ্বভারতীর আন্দোলনরত পড়ুয়ারা। ইতিমধ্যেই তাঁদের জন্য হস্টেল খুলে দেওয়া শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবারই বিশ্বভারতী এক নির্দেশিকা জারি করে জানিয়ে দিয়েছে চলতি শিক্ষাবর্ষে আন্ডার ও পোস্ট গ্রাজুয়েট পরীক্ষার প্রথম সেমিস্টার শুরু হবে অনলাইনে ১৫ দিনের মধ্যে। টেকনিক্যাল কারণে পরীক্ষার ফর্ম পূরণ করতে পারেনি যে সব পড়ুয়া, অল্পদিনের ভিতরেই তা সেরে ফেলতে পারবেন তাঁরা। এদিকে আজ, শুক্রবার কলকাতা আদালতে শুনানি। তার আগেই অচলাবস্থা কাটাতে সুর নরম করল বিশ্বভারতী। যদিও দীর্ঘক্ষণ বসিয়ে রেখে ছাত্র প্রতিনিধিদের অপদস্থ করতে চাইল তারা।

আরও পড়ুন-মাধ্যমিক যোগ্যতায় এসএসসি এমটিএস পরীক্ষা

ছাত্র প্রতিনিধি সোমনাথ সৌ জানান, বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ আলোচনার নামে সেন্ট্রাল লাইব্রেরিতে দীর্ঘক্ষণ ধরে আমাদের বসিয়ে রাখে। তবে শেষমেশ উপাচার্য নিজে না এলেও দশজন প্রতিনিধি ও তাঁদের সাহায্য করার জন্য আরও ছয়জন মিলে মোট ষোলোজনকে পাঠান। বিশ্বভারতী ছাত্র প্রতিনিধি হিসাবে ডেকেছিল সোমনাথ সৌ ও মীনাক্ষী ভট্টাচার্যকে। কিন্তু প্রতিটি ভবন থেকে একজন হিসাবে মোট আটজন ছাত্র প্রতিনিধি হাজির ছিলেন। আলোচনায় উঠে আসা দাবি পাঠানো হয় উপাচার্যের কাছে। তবে সিদ্ধান্ত না জানা পর্যন্ত কেউ উঠবেন না বলেও জানিয়ে দেন বিশ্বভারতীর টিএমসিপি ইউনিট সভাপতি মীনাক্ষী ভট্টাচার্য।

আরও পড়ুন-কলকাতা পুরসভায় ফুড সেফটি অফিসার

উল্লেখ্য, তিন দফা দাবিতে ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকেই ছাত্র আন্দোলনে উত্তাল বিশ্বভারতীর ক্যাম্পাস। শিকেয় উঠেছে পঠনপাঠন এবং প্রশাসনিক কাজকর্ম। এমনকী উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষাও দেয়নি পরীক্ষার্থীরা। বাধ্য হয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্বভারতী। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানানো হয় তা। ফলে অনিশ্চয়তার মুখে পড়ে পরীক্ষার্থীরা। অবশেষে অচলাবস্থা কাটাতে উদ্যোগী হয় বিশ্বভারতী। অবশ্য আদালত অবমাননার দায় এড়াতেই তড়িঘড়ি তাদের এই উদ্যোগ বলে মনে করছে বিভিন্ন মহল। বৃহস্পতিবার এই বিষয়ে নির্দেশিকা জারি করল কর্তৃপক্ষ।

এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানান ছাত্রছাত্রীরা। পড়ুয়াদের সঙ্গে আলোচনা করার জন্য বিশ্বভারতীর তরফে গঠিত কমিটিতে রয়েছেন আট ভবনের অধ্যক্ষ-সহ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোক্টর ও ডিন। সভাপতি শিক্ষাভবনের অধ্যক্ষ তারাপ্রসাদ চট্টোপাধ্যায়।

Latest article