স্ত্রীর অত্যাচারে অতিষ্ট সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার, নিজেকে বাঁচাতে পুলিশের দ্বারস্থ যুবক

শুধু তাই নয়, সোশ্যাল মিডিয়া একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেছেন ওই সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার যেখানে তাঁর স্ত্রীকে এই ধরনের দাবি করতে শোনা গিয়েছে।

Must read

ফের নজরে বেঙ্গালুরু (Bengaluru)। অতুল সুভাষের ঘটনার রেশ কাটার আগেই আবার একটি ঘটনা প্রকাশ্যে। তবে এই ক্ষেত্রে শেষ পরিণতি হওয়ার আগেই পুলিশের দারস্থ হন ব্যক্তি। বেঙ্গালুরুর সাম্পিগেল্লিতে এক দম্পতি থাকেন। ২০২২ সালে তাদের বিয়ে হয়। এই অবস্থায় যুবকের অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই স্ত্রীর সঙ্গে থাকা রীতিমত অসম্ভব হয়ে উঠছে। পাশে থাকা দূর সবসময় তাঁর উপরে মানসিক চাপ সৃষ্টি করতে থাকেন তাঁর স্ত্রী। স্ত্রীর এই আচরণ এবং ব্যবহারের প্রভাব তাঁর কাজের জায়গাতেও পড়ছে। তিনি শান্তিতে কাজ করতে পারছেন না। শারীরিকভাবে ঘনিষ্ঠ হওয়ার জন্য প্রতিদিন ৫,০০০ টাকা করে দাবি করছেন ওই যুবকের স্ত্রী। বেঙ্গালুরুর একজন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার এই সব অভিযোগ তুলে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন। শুধু তাই নয়, সোশ্যাল মিডিয়া একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেছেন ওই সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার যেখানে তাঁর স্ত্রীকে এই ধরনের দাবি করতে শোনা গিয়েছে।

আরও পড়ুন-খাদে পড়ল গাড়ি, মিরিকে মৃত দুই

ওই যুবক অভিযোগ করেন যখনই স্ত্রীর সঙ্গে তিনি ঘনিষ্ঠ হওয়ার চেষ্টা করেন, তখনই সুইসাইড নোট লিখে আত্মহত্য়ার হুমকি দেন সেই মহিলা। এমনকি তিনি বাড়ি থেকে কাজ করার সময় অফিসের মিটিংয়ের মাঝে জোরে গান চালিয়ে নাচতে শুরু করতেন তাঁর স্ত্রী৷ সমাহিলাকে সমর্থন করত তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকজন৷ একপ্রকার শারীরিক অত্য়াচার করে নিজের পরিবারের জন্য বাড়ি কিনতে ৬০ লক্ষ টাকা দাবি করেছেন যুবকের স্ত্রী। সংসারের হাত খরচের জন্য প্রতিদিন ৫,০০০ টাকার দাবি জানিয়েছেন ওই মহিলা। শ্রীকান্ত নামের এই ব্যক্তি স্ত্রীকে বিবাহ বিচ্ছেদের প্রস্তাব দিলে তাঁর স্ত্রী ডিভোর্স দেওয়ার জন্য ৪৫ লক্ষ টাকা দাবি করেন। টাকা না মেটালে নিজেকে আঘাত করে স্ত্রী তাঁকে ফাঁসানোর হুমকি দিয়েছে । স্ত্রীর বিরুদ্ধে শারীরিক হেনস্থার অভিযোগও করেছেন যুবক।

আরও পড়ুন-নিহত হামাসের সামরিক গোয়েন্দা প্রধান! ইজলায়েলি হামলায় মৃতের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে

অন্যদিকে আত্মপক্ষ সমর্থনে স্ত্রী’র অভিযোগ, পণের জন্য তাঁকে ও তাঁর পরিবারকে চাপ দেওয়া হত। ওই ব্যক্তি যা যা অভিযোগ করেছেন, তা এই মুহূর্তে খতিয়ে দেখছে পুলিশ। সম্প্রতি বেশ কয়েকটি পর পর ঘটনা গোটা দেশ জুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি করেছে। প্রসঙ্গত, গত বছর শেষের দিকে বেঙ্গালুরুর একটি আবাসন থেকে অতুলের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মৃত্যুর আগে সুইসাইড নোট ছাড়া প্রায় দেড় ঘণ্টার একটি ভিডিয়ো রেকর্ডিংও রেখে যান অতুল। অতুলের পরিবারের অভিযোগ ছিল, একের পর এক মিথ্যা অভিযোগে তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে। আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে অতুলের স্ত্রী নিকিতা সিংহানিয়া, শাশুড়ি নিশা সিংহানিয়া, শ্যালক অনুরাগ-সহ স্ত্রীর পরিবারের পাঁচ সদস্যের বিরুদ্ধে দায়ের হয়েছিল এফআইআর-ও। অবশেষে তারা গ্রেফতারও হন।

Latest article