নববর্ষে (Bengali New Year) শহরের বস্তি এলাকায় জ্বলবে সৌর আলো। এমনই উদ্যোগ নিয়েছে কলকাতা পুরনিগম। বায়ুদূষণের কমাতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
কলকাতা পুর নিগমের মেয়র পারিষদ স্বপন সমাদ্দার (বস্তি) জানিয়েছেন, প্রাথমিকভাবে কলকাতার ৩০টি বস্তি এলাকায় চিহ্নিত করা হয়েছে। যেখানে সৌর আলো লাগানো হবে। উত্তর কলকাতার গিরিশ পার্ক, শ্যামবাজার এলাকার বস্তি ছাড়া দক্ষিণ কলকাতার খিদিরপুর, ঢাকুরিয়া, কালীঘাট এলাকার বস্তিতে লাগানো হবে সৌর আলো। পুরনিগমের নতুন বায়ুদূষণ পরিমাপ ‘সেল’ জানিয়েছে, দূষণমক্ত গ্রিন এনার্জি বা ক্লিন এনার্জির ব্যবহার বাড়ানোর লক্ষ্যে এই সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদন। বিদ্যুতের চাহিদা মেটাতে বস্তি এলাকার অলিতে গলিতে পাইলট প্রোজেক্ট হিসেবে স্বল্প ক্ষমতার সোলার পাওয়ার প্ল্যান্ট বসানোর বিষয়ে উদ্যোগী হয়েছে নিগম। এ জন্য বস্তি এলাকার গলিতে নতুন লাইটপোস্ট বসানো হবে। সেই লাইটপোস্টের মাথায় থাকবে সোলার প্লেট। যেখানে থাকবে সৌরকোষগুলি। গ্রীষ্মের দুপুরে সৌরকোষগুলি এক বর্গমিটার প্রখর রোদ পেলেই ২০০ ওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারবে। জানা গিয়েছে, কলকাতায় ৩ লক্ষ ল্যাম্পপোস্ট রয়েছে। এই ল্যাম্পপোস্ট গুলি থেকে ৭০০ মেট্রিক টন কার্বন বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করে। পরিবেশবিদরা জানিয়েছেন, এই কার্বণ উষ্ণায়নের কারণ। তাই বস্তি এলাকার বিভিন্ন গলিতে পাইলট প্রোজেক্ট হিসেবে সোলার পাওয়ার প্ল্যান্ট বসাতে উদ্যোগী হয়েছে কলকাতা পুর নিগম।
উল্লেখ্য, এর আগে কলকাতা শহরের আটটি পার্কে নিগমের তরফে সৌর আলো বসানো হয়েছিল। মেয়র পারিষদ স্বপন সমাদ্দার জানিয়েছেন, কলকাতা পুর এলাকায় প্রায় ৩ লক্ষ ল্যাম্পপোস্ট রয়েছে। এরমধ্যে ১ লক্ষ ৬০ হাজার ল্যাম্পপোস্টে এলইডি লাইট লাগানো হয়েছে। এরফলে চলতি বছর প্রায় ৪ কোটি টাকা ইলেকট্রিক বিল বাঁচিয়েছে নিগম।