প্রতিবেদন : ঝাড়গ্রামে হাতিমৃত্যুর ঘটনায় ব্যবস্থা নিয়েছে বনদফতর। মঙ্গলবার হুলা পার্টির দুই সদস্যকে েগ্রফতার করা হয়েছে। এই বিষয়টি নিয়ে এদিনই দফতরের দুই সদস্যের সঙ্গে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেন মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা। মন্ত্রী জানিয়েছেন, এই বৈঠকে কয়েকটি সমস্যা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সেগুলি সমাধানের জন্য পদক্ষেপ করা হবে। বীরবাহা বলেন, হাতিগুলিকে যখন হুলা পার্টি এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় নিয়ে যাোয়া হয় তখন প্রচুর জমায়েত হতে শুরু করে। পরে অনুরোধ করার পরেও কোনও সহযোগিতা পাওয়া যায় না। সেক্ষেত্রে হাতি অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার সময় যদি ৫০০ মিটারের মধ্যে কোনও মানুষকে পাওয়া গেলে তাঁর বিরুদ্ধে নেওয়া হবে আইনি পদক্ষেপ।
আরও পড়ুন-বাম-বিজেপির অতৃপ্ত আত্মারা ছিলেন যুবভারতীর প্রতিবাদে, খসে পড়ল মুখোশ
এছাড়াও হুলাপার্টিকে চিহ্নিত করতে হাতি ড্রাইভের জন্য অন্য পোশাক দেওয়া হবে। পাশাপাশি হুলাপার্টির সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে তাঁদের জীবন ও স্বাস্থ্যবীমার ব্যবস্থা করার ভাবনা রয়েছে। এছাড়াও যাঁরা বনদফতরের কর্মী থাকবেন তাঁদের পোশাকে বসানো হবে ক্যামেরা। এই পদক্ষেপ গুলি আরও বিস্তারিত জানাতে আজ বুধবার একটি সাংবাদিক বৈঠক করবনে বলেও জানিয়েছেন মন্ত্রী। উল্লেখ্য, গত ১৫ অগাস্ট স্বাধীনতা দিবসে ঝাড়গ্রামের সত্যবানপল্লী এলাকায় হাতির হামলায় অনুপ মল্লিক নামে একজনের মৃত্যু হয়। ওই দিনই শহরের রাজকলেজ সংলগ্ন এলাকায় পাঁচটি হাতি ঢুকে পড়ে। তাদের তাড়াতে হুলা পার্টি আসে। তাদেরই একজনের ছোঁড়া জ্বলন্ত লোহার রড একটি অন্তঃসত্ত্বা মাদি হাতির পিঠে গেঁথে যায়। তাতেই ১৬ অগাস্ট মারা যায় হাতিটি। তা নিয়ে সোচ্চার হন গ্রামবাসীরা এবং তাবৎ পশুপ্রেমী। তাঁরা প্রশিক্ষণহীন হুলা কর্মী নেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ তোলেন এবং তাঁর শাস্তি দাবি করেন।