প্রতিবেদন : মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (CM Mamata Banerjee) মস্তিষ্কপ্রসূত নানা প্রকল্প বিশ্বের দরবারে ইতিমধ্যেই স্বীকৃত হয়েছে। কন্যাশ্রী, সবুজসাথী, উৎকর্ষ বাংলা’র পর স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প বিশ্বমঞ্চে প্রশংসিত হয়েছে। এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যাশয়ের ‘জল ধরো জল ভরো’ প্রকল্পের ভূয়সী প্রশংসা করলেন লাদাখনিবাসী পরিবেশকর্মী সোনম ওয়াংচুক। সম্প্রতি গুরগাঁওয়ে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত এক অনুষ্ঠানে তিনি দ্ব্যর্থহীন ভাষায় জানান, দূষণ নিয়ন্ত্রণে খুব ভাল কাজ করছে পশ্চিমবঙ্গ। জল সংরক্ষণ একটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কাজ। বাংলা তৃণমূল কংগ্রেস সরকার সেই কাজটাই করছে গুরুত্ব সহকারে। এজন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিশেষভাবে প্রশংসার দাবি রাখেন।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee) বাংলায় পরিবর্তনের সরকার প্রতিষ্ঠার পরই সূচনা করেছিলেন ‘জল ধরো জল ভরো’ প্রকল্পের। বাংলায় পথ দেখিয়েছিল দেশকে। জলসংকট ক্রমশ তীব্র আকার নিচ্ছিল দেশ জুড়ে। ২০১১-১২ অর্থবর্ষে মুখ্যমন্ত্রী বৃষ্টির জল সঞ্চয় এবং তা সংরক্ষণের মাধ্যিমে ভূগর্ভস্থ জলের ভাণ্ডার পূর্ণ করে তোলার বার্তা দেন। ‘জল ধরো জল ভরো’ প্রকল্প ঘোষণা করেন। এই প্রকল্পের সফল বাস্তবায়নেই কালনা-২, বর্ধমান-২, মঙ্গলকোট, মেমারি, পূর্বস্থলীর মতো জায়গাগুলি সংকটজনক অবস্থা থেকে ‘সেমি ক্রিটিকাল’ স্তরে উঠে এসেছে।
‘থ্রি ইডিয়টস’ যাঁকে নিয়ে তৈরি হয়েছিল সেই সোনম ওয়াংচুক জানিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে কুর্নিশ। জল সংরক্ষণের পাশাপাশি অপ্রচলিত শক্তির ব্যথবহার, পরিবেশ সংরক্ষণে কাজকে তারা বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে। গোটা দেশব্যাপী পরিবেশ রক্ষায় এই কাজ জরুরি। তাঁর আশঙ্কা, তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়ে গিয়েছে। ‘আইস স্তূপা’-র আবিষ্কারক এমনটা মনে করছেন এই কারণেই যে, স্রেফ বায়ুদূষণের কারণে বিশ্বে প্রতি বছর ৭০ লক্ষ মানুষের মৃত্যু় হচ্ছে। শুধুমাত্র ভারতে বায়ুদূষণের কারণে মৃত্যুুর সংখ্যায ২৫ লক্ষ। তাঁর কথায়, প্রথম দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধেও এত মানুষ মারা যায়নি। তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলছে পরিবেশের সঙ্গে মানুষের।
আরও পড়ুন: কৃষকদের সার্বিক উন্নয়নই লক্ষ্য বাংলার সরকারের: মুখ্যমন্ত্রী