রাখি গরাই, বাঁকুড়া: মানত করলেই নাকি মেলে চাকরি। সেই কারণেই মন্দিরে ঢল নামে ভক্তদের। ‘সার্ভিস কালী’র মাহাত্ম্য এরকমই বলে তাঁদের বিশ্বাস। বাংলার বিভিন্ন কালীমন্দিরের মাহাত্ম্য নিয়ে রয়েছে নানা ইতিহাস। বাংলার অনেক গৃহস্থ বাড়িতেও রয়েছে কালীমন্দির। অনেক প্রসিদ্ধ সিদ্ধপুরুষের স্মৃতিবিজড়িত পুজোও রয়েছে এর মধ্যে। সেগুলির অন্যতম ‘সার্ভিস কালী’র মন্দির।
আরও পড়ুন-দিদিকে বলোয় অভিযোগ ওসির বিরুদ্ধে, প্রতিকারের আশ্বাস জেলা পুলিশকর্তার
ভক্তদের বিশ্বাস, এই দেবীর কাছে প্রার্থনা করলে পূর্ণ হয় চাকরির মনোবাঞ্ছা। বাঁকুড়া শহর থেকে প্রায় ৫০ কিমি দূরে সোনামুখী পুরসভা এলাকায় অবস্থান এই সার্ভিস কালীমন্দিরের। সোনামুখী শহরের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দারা তো বটেই, দূরদূরান্ত থেকেও ভক্তরা ছুটে আসেন এই মন্দিরে। ভক্তরা বলেন, সরকারি চাকরির মনোবাঞ্ছাও পূরণ করেন সার্ভিস কালী মা। এমনকী দেবীর আশীর্বাদে আটকে থাকা চাকরিও হয়ে যায় সহজে। এলাকার বাসিন্দারা জানান, সোনামুখী এলাকার কিছু ব্যক্তি বাস পরিষেবা শুরু করার লাইসেন্স পাচ্ছিলেন না। তখন তাঁরা এই কালী মায়ের কাছে এক টাকা বা ষোলো আনা দিয়ে মানত করেন। তারপর নাকি দীর্ঘদিনের আটকে থাকা কাজ হয়ে যায়। দেবীর গায়ে দামি গহনা। সরকারি চাকরির মনোবাঞ্ছা পূরণ হওয়ার পর ভক্তরা সেগুলি উপহার দিয়েছেন মাকে। বিশেষ দিনগুলি ছাড়াও গোটা বছর ভক্তদের ভিড় লেগে থাকে মন্দিরে। সমাজমাধ্যমেও এখন বহুল পরিচিত এই ‘সার্ভিস কালী’।