অনন্ত গুছাইত, নয়াদিল্লি : ঘরেবাইরে চাপ। রাহুল গান্ধী প্রকৃত বিকল্প মুখ নন। পরিস্থিতি সামলাতে ছেলেকে আড়াল করে সোনিয়া গান্ধীকে বলে দিতে হল তিনিই পুরো সময়ের কংগ্রেস সভানেত্রী।
দলের সাংগঠনিক নির্বাচন হয়নি বহুদিন। ২০১৯ সালে সভাপতির পদ থেকে রাহুল গান্ধী সরে দাঁড়াবার পর মা সোনিয়া গান্ধী ‘অস্থায়ী’ সভাপতির দায়িত্ব নিয়েছিলেন। শনিবার সেই ‘অস্থায়ী’ পদ কে কার্যত স্থায়ী বলেই ঘোষণা করলেন সোনিয়া গান্ধী। কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির (সিডব্লিউসি) সভায় কপিল সিবল সহ ‘জি ২৩’র বিক্ষুব্ধ সকল নেতার প্রশ্নের জবাবে সোনিয়া গান্ধী কিছুটা আত্মরক্ষার সুরেই ঘোষণা করেন, তিনিই দলের পূর্ণকালীন সভাপতি। বলেন, আমি কংগ্রেসের পূর্ণ সময়ের সভাপতি।
আরও পড়ুন-রেয়াত নয় মণ্ডপে হামলাকারীদের, সাফ কথা হাসিনার
তবে এই ঘোষণা করতে গিয়ে সচেতনভাবেই সাম্প্রতিক দিনগুলোতে নিজের রাজনৈতিক কর্মকান্ডের ফিরিস্তি তুলে ধরেন। সোনিয়া দেশের সাম্প্রতিক ইস্যুগুলির উল্লেখ করে বলেন, আমি দেশের জ্বলন্ত সমস্যাগুলি প্রধানমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরেছি, যেমন মনমোহন সিং এবং রাহুল গান্ধী…করেছেন। অন্য দলগুলোকে ঐক্যবদ্ধ করার উদ্যোগ নিয়েছি। জাতীয় ইস্যুতে সম্মিলিতভাবে বিবৃতি প্রকাশ করেছি এবং সংসদে বিরোধী দলগুলির কৌশলে সমন্বয় স্থাপন করা হয়েছে। সোনিয়া কার্যত দলের নেতাদের বোঝানোর চেষ্টা করেন যে তাঁর নেতৃত্বে দল কখনো গতিহীন হয়ে পড়েনি।তিনি বলেন যে, ৩০ জুনের মধ্যে সভাপতি নির্বাচনের প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু করোনা মহামারীর কারণে সেই প্রক্রিয়া স্থগিত করতে হয়েছিল এবং এখন নতুন সূচি তৈরি করা হবে। এদিন কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত হয় ,আগামী একবছরের মধ্যে দলের সাংগঠনিক নির্বাচন হবে। অর্থাৎ,দলীয় নির্বাচন ছাড়াই আরও একবছর কংগ্রেস সভাপতি থাকবেন সোনিয়া গান্ধী। তিনি বিক্ষুব্ধ নেতাদের উদ্দেশ্য বলেন, ” আমার সাথে মনের কথা বলার জন্য মিডিয়ার আশ্রয় নেওয়ার দরকার নেই।” তিনি বলেন, দলের পুনরুজ্জীবন হওয়া উচিত কিন্তু এর জন্য শৃঙ্খলা এবং আত্মনিয়ন্ত্রণ প্রয়োজন।