প্রতিবেদন : কাঁথি পুরসভা (Contai Municipality) থেকে সারদা ফাইল লোপাট মামলায় বৃহস্পতিবার কাঁথি থানায় হাজিরা দিল দলবদলু গদ্দারের ভাই সৌমেন্দু অধিকারী। এই মামলার তদন্তকারী অফিসার শেখ আসিফউদ্দিনের নেতৃত্বে তদন্তকারী দল সৌমেন্দুকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। এই নিয়ে তৃতীয়বার এই মামলায় কাঁথি থানার পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি অধিকারী পরিবারের ছোট ছেলে তথা কাঁথি পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান। বৃহস্পতিবার দুপুর বারোটা তেরো মিনিটে কাঁথি থানায় ঢোকে সৌমেন্দু। জিজ্ঞাসাবাদের পর দুপুর দুটো পঁচিশ মিনিট নাগাদ থানা থেকে বেরিয়ে যায়। জিজ্ঞাসাবাদ চলাকালীন সশস্ত্র নিরাপত্তারক্ষী জওয়ানরা কাঁথি থানার গেটের সামনে দাঁড়িয়ে থাকে। উল্লেখ্য, কাঁথি পুরসভায় থাকা সারদা সংক্রান্ত ফাইলের বিষয় জানতে শহরের এক আইনজীবী মনজুর রহমান তথ্য জানার আইনে কাঁথি পুরসভায় (Contai Municipality) আবেদন করেন। এরপর কাঁথি পুরসভার বর্তমান চেয়ারম্যান সুবলকুমার মান্না ২০২২ সালের ২৮ জুন কাঁথি থানায় সারদা সংক্রান্ত ফাইল লোপাটের অভিযোগ দায়ের করেন। সেই মামলার তদন্তে নেমে পুলিশ কাঁথির তৎকালীন চেয়ারম্যান সৌমেন্দুকে ২০২২ সালের ৭ অক্টোবর প্রথম ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। ফের ২০২৩-এর ৩১ মার্চ এই বিষয়ে দ্বিতীয়বার তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। এবার তৃতীয়বার কাঁথি পুলিশ জেরা করল নোটিশ পাঠিয়ে। উল্লেখ্য, এই মামলায় ইতিমধ্যে কাঁথি পুরসভার কয়েকজন কর্মীকেও পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। সূত্রের খবর, সারদাকর্তা সুদীপ্ত সেন কাঁথি পুরসভা এলাকায় একটি জমি কিনে তাতে আবাসন গড়ার পরিকল্পনা নিয়েছিলেন। সেই মর্মে পুরসভা থেকে জমি হস্তান্তরও করা হয়। পরবর্তী কালে সারদাকর্তা জেলে যাওয়ার পর সেই জমিকে পুরসভা আবর্জনা ফেলার স্থান হিসেবে ব্যবহার করে। সারদাকর্তা সুদীপ্ত সেন ইতিপূর্বে আদালতে যাওয়ার পথে মিডিয়ার সামনে দাবি করেছিলেন, তৎকালীন কাঁথির পুরপ্রধান সৌমেন্দু অধিকারীকে তিনি ৫০ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন। এই অভিযোগ পেয়ে নড়েচড়ে বসে কাঁথি থানার পুলিশ। এই বিষয়ে আলিপুর সেন্ট্রাল জেলে গিয়ে সারদাকর্তা সুদীপ্ত সেনকেও জিজ্ঞাসাবাদ করে কাঁথি থানার তদন্তকারী দল। কাঁথি পুরসভা থেকে সারদা-সংক্রান্ত নথি কীভাবে গায়েব হল, কে বা কারা গায়েব করল, কার স্বার্থে বা কার নির্দেশে এই কাণ্ড, পেছনে কোন চক্র সক্রিয় রয়েছে— এসব প্রশ্নেরই উত্তর খুঁজছে কাঁথি থানার তদন্তকারী দল। এই মামলায় ইতিমধ্যে সৌমেন্দুকে তদন্তকারী পুলিশ অফিসারদের সহযোগিতার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতার উচ্চ আদালত।
আরও পড়ুন- নিন্দা নয়, হাততালি প্রাপ্য, সমালোচনা নয়, প্রশংসা করুন