প্রতিবেদন : সবুজের মাঝে ঝলমলে মঞ্চ। শনিবাসরীয় সন্ধ্যায় ইডেন গার্ডেন্সের ছবি এটা। ঠিক ইডেন নয়, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের কথায় এটা গোল্ডেন গার্ডেন। তিনি বললেন, অনেক খেলার ইতিহাস আছে এখানে।
এই ইতিহাস থেকেই এল সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের নাম। তিনি তখন মঞ্চেই। মুখ্যমন্ত্রী বললেন, সৌরভ বাংলা, দেশ ও বিশ্ব ক্রিকেটকে এগিয়ে দিয়েছে। ওকে দেখলেই আমার একটা কথা মনে পড়ে। সেই যে জার্সি খুলে ঘুরিয়েছিল।
কিন্তু তিন বছর আগের সেই ঘটনা? তাও তো মনে পড়ছে মুখ্যমন্ত্রীর। যখন কোনও এক অদৃশ্য অঙ্গুলিহেলনে আইসিসি প্রেসিডেন্ট পদে বসা হয়নি সৌরভের। বিসিসিআই সম্মতি না দেওয়ায় আইসিসি চেয়ারম্যান পদে লড়তে পারেননি তিনি। যা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর আক্ষেপ যে এখনও যায়নি সেটা বোঝা গেল তাঁর কথায়।
আরও পড়ুন-বিরোধীদের প্রশ্নের মুখোমুখি হতে ভয়! স্বল্পমেয়াদি অধিবেশন নিয়ে তির ডেরেকের
মুখ্যমন্ত্রী বলছিলেন, আমাদের বন্ধু আছে, শত্রুও আছে। সৌরভ দুঃখ পাবে। ও ভারতের অধিনায়ক ছিল। আমি বড্ড ঠোঁটকাটা। তাই কথাটা বলেই ফেলি। সৌরভের আইসিসি প্রেসিডেন্ট হওয়ার কথা ছিল। সৌরভ ছাড়া অন্য কারও ওই পদে থাকার কথা নয়।
তবে মুখ্যমন্ত্রী আশাবাদী, সৌরভ একদিন বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বোচ্চ পদে বসবেন। তাঁর হাতে এদিন ম্যান্ডেলা-গান্ধী ফ্রিডম ট্রফির রেপ্লিকা তুলে দেন সিএবি সভাপতি। ১৪ নভেম্বর থেকে ইডেনে ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথম টেস্ট শুরু হবে। সৌরভ তার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীকে।
শনিবারের সিএবি অনুষ্ঠানের নাম দেওয়া হয়েছিল সেলিব্রেটিং ভিশন অ্যান্ড ভিকট্রি। সৌরভ নিজেই মুখ্যমন্ত্রীকে অনুষ্ঠানে আসার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী বললেন, আমার একটা প্রোগ্রাম ছিল। তবু আসব বলেছিলাম। এটা গর্বের অনুষ্ঠান। রিচার বয়স কম। ওর সামনে রোজ নতুন দিন আসবে। ওকে কোনও চাপ দিও না। রিচা ভালবাসা দিয়ে বিশ্বজয় করবে। মেয়েরাও আরও এগিয়ে যাক। ঝুলনরা জীবনপাত করেও বিশ্বকাপ জিততে পারেনি। রিচারা পারল। ওর সঙ্গে ভারতীয় দলকেও অভিনন্দন।

